বাংলা কবিতার ঐতিহ্য, সৌন্দর্য, সুষমা ধারণ করে শুদ্ধ সাংগঠনিক চর্চার মাধ্যমে একটি উদার মুক্তমনা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌহার্দপূর্ণ আবৃত্তি পরিমন্ডল গড়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে টরন্টোয় আত্মপ্রকাশ করেছে আবৃত্তি সংগঠন ‘উচ্চারণ’। টরন্টোর বাংলাদেশ সেন্টারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আবৃত্তি সংগঠন ‘উচ্চারণ’-এর পথচলা শুরু হয়।
দুই পর্বের এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সঞ্চালনা করেন নাজমা কাজী ও ফ্লোরা নাসরিন ইভা। প্রথম পর্বের পরিবেশনায় ছিলেন তানিয়া নূর, আরিয়ান হক, নাজমা কাজী, ফারহানা আহমেদ, সৈয়দা রোখসানা বেগম, ফ্লোরা নাসরিন ইভা, তাজিন লিসা আহমদ, শিখা আহমাদ, আরিয়ান হক, আরিফুল ইসলাম এবং তাপস কর্মকার। প্রথম পর্বের শেষ পর্যায়ে শিশুদের পরিবেশনা কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেয় আকাশলীনা দেব স্পৃহা, রিজ্জ্বল দেব স্পর্শ, সাইয়ারা নূর আরায়া এবং এন্ড্রিয়া।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে সংগঠনের আত্মপ্রকাশের কিছু প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আরিয়ান হক। সাংগঠনিক ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন রাশিদা মুনীর। সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কর্মকৌশল, আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং কর্মসূচি পড়ে শোনান শামীমা হুমায়রা, মাহমুদা কাওসার ত্বিষা, জিনাত বাশার ও নাজমা কাজী।
‘উচ্চারণ’ সংগঠনটিতে প্রবীণ আবৃত্তিকারদের পাশাপাশি নতুন আবৃত্তিকারও সম্পৃত্ত রয়েছেন। আবৃত্তি বিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার, প্রযুক্তির মাধ্যমে আবৃত্তির প্রসার, নতুন প্রজন্মকে বাংলা কবিতার প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করে যাবে বলে আয়োজকগন আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তারা উল্লেখ করেন উচ্চারণ সংগঠনটি কমিউনিটি সংযোগ, নেতৃত্বের বিকাশ, স্বদেশ বিরোধী অপতৎপরতা রোধ, প্রজন্ম সংযোগ এবং আবৃত্তি শিল্পীদের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে কাজ করে যাবে। আয়োজকগন বলেন দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, পারস্পরিক আস্থা, সম্মান, চিন্তার উদারতা ও সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সংগঠনটি এগিয়ে যাবে। 
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে সংগঠনটির সদস্যদের মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেন ফ্লোরা নাসরিন ইভা। এরপর আমন্ত্রিত উপদেষ্টাগন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। উচ্চারণ সংগঠনটিতে আবৃত্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সাংগঠনিক উপদেষ্টা দুই ধরনের উপদেষ্টা রাখা হয়েছে।
আবৃত্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তি শিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, স্বনামধন্য আবৃত্তি মহীরুহ মিথুন আহমেদ, জনপ্রিয় আবৃত্তি শিল্পী ও প্রশিক্ষক মাহিদুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট আবৃত্তিকার রবি শংকর মৈত্রী।
সাংগঠনিক উপদেষ্টা হলেন, বিশিষ্ট লেখক সালমা বাণী, সংগঠক সাদী আহমেদ, কবি ড: বাদল ঘোষ, চিত্রশিল্পী সৈয়দ ইকবাল, কবি অপরাহ্ন সুসমিতা এবং সমাজসেবক মির্জা রহমান। এদের মাঝে উপস্থিত ৫ জন উপদেষ্টাকে মঞ্চে আহ্বান 
জানান ফারহানা আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্যে ড. বাদল ঘোষ আশা প্রকাশ করেন যে সংগঠনটি আগামী দিনের পথ চলায় বাংলা কবিতাকে আরো উর্ধ্বে তুলে ধরবে।
সালমা বাণী তার বক্তব্যে বলেন, সংগঠনটির যাত্রা শুভ ও সফল হবে। সাদী আহমেদ তার বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি আরও বলেন, সংগঠনটি কিশোর, তরুনদের বাংলা ভাষা চর্চায় পথ দেখাবে। মির্জারহমান তার বক্তব্যে বলেন, যে সংগঠনটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে এবং এই সংগঠন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি সংগঠনটির সাফল্য কামনা করেন।‘উচ্চারণ’ সংগঠনটির ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শিশুদের স্বতন্ত্র বিভাগ ‘উচ্চারণ উচ্ছাস’।
বিডি প্রতিদিন/এএ
বিডি প্রতিদিন/এএ
 
                         
                                                             
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                        