মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পুরোদমে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নব নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী।
বুধবার বিকেলে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হলরুমে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে মন্তব্য করার পর্যাপ্ত সময় হয়নি। এ ধরনের বিষয়ে ভুল তথ্য দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আমাদের এ দেশের সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। তাই শ্রমবাজার সংক্রান্ত সংবাদ যাচাই-বাছাই করে সঠিকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন।’
হাইকমিশনার বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রায় ১৫ লাখের উপরে বাংলাদেশি প্রবাসী আছেন। সাংবাদিকেরা সহজেই প্রবাসীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন এবং তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারেন। এতে দূতাবাস ও প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সম্ভাব্য সমাধানের পথও তুলে ধরার চেষ্টা করা উচিত।’
প্রবাসী সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে সাধারণ প্রবাসীদের সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান করে হাইকমিশনার বলেন, ‘অনেক সময় সাধারণ প্রবাসীদের সঠিক তথ্যের ঘাটতি থাকে। তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের কথাই বেশি শোনেন, ফলে বিভ্রান্ত হন।’
অনিয়মিত প্রবাসীদের বৈধতার বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার সফরের সময় মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বৈধতা দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মালয়েশিয়ার সরকারের অধীনে।’
সভায় ডেপুটি হাইকমিশনার মোসাম্মাত শাহানারা মনিকা, বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম রতন, সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হিরন, সিনিয়র সহ- সভাপতি রফিক আহমদ খান, সাবেক সভাপতি মোস্তফা ইমরান রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পি কুমার দাস, দপ্তর সম্পাদক সওকত হোসেন জনি, সাংবাদিক আহমেদুল কবির, আশরাফুল মামুন, শেখ আরিফুজ্জামান, আরিফুল ইসলাম, এস এ সৌরভসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সাংবাদিকরা নব-নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক