শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বৃক্ষ বাবুলের গল্প

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

বৃক্ষ বাবুলের গল্প

স্বল্প আয়ের টাকা থেকে বৃক্ষপ্রেমিক বাবুল বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনকে স্থানীয় ফতেয়াবাদের বিভিন্ন নার্সারি থেকে কয়েক হাজার চারা বিতরণ করেছেন।

 

লেখাপড়া বেশি দূর করতে না পারায় অল্প বয়সে একটি ফার্নিচারের দোকানে শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন বাবুল। এরপর এলাকায় নিজে ছোট্ট একটি ফার্নিচারের দোকান দেন। এ দোকানের আয় থেকেই জীবিকা নির্বাহ করেন। সংসার খরচ থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করেন। এ টাকা দিয়েই তিনি স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় ফলদ চারা বিতরণ করেন। গত ১৫ বছর ধরেই তিনি এ কাজটি করে আসছেন। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকার মোহাম্মদ নুরুল হক বাবুল পরিচিত পেয়েছেন বৃক্ষ বাবুল হিসেবে। তার পুরো নাম নুরুল হক বাবুল। বাবুল নিম্ন আয়ের মানুষ হলেও বৃক্ষ রোপণে অসামান্য অবদান রাখছেন।

প্রতি বছর তিনি সঞ্চয় করা টাকা থেকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় চারা বিতরণ করেন। এরই মধ্যে তিনি বৃক্ষ বাবুল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। জানা যায়, কর্মজীবনের শুরু থেকেই এলাকায় গাছ বিতরণ শুরু করেন বাবুল। শুরুতে দু-একটি করে চারা বিতরণ করতেন বাবুল। একসময় আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান বাবুল। সেখানেও তিনি গাছের  উপকারিতা ও গাছ লাগানো সম্পর্কে বাঙালি-অবাঙালি সবাইকে উৎসাহিত করতেন। একসময় দেশে ফিরে ফের ফার্নিচারের দোকান দেন। বৃক্ষ রোপণ ও বৃক্ষের চারা বিতরণ শুরু করেন। স্বল্প আয়ের টাকা থেকে বৃক্ষপ্রেমিক বাবুল বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনকে স্থানীয় ফতেয়াবাদের বিভিন্ন নার্সারি থেকে কয়েক হাজার চারা বিতরণ করেছেন। বাবুল জানান, ‘নারকেল গাছের চারা সবচেয়ে বেশি বিতরণ করি। অর্থনৈতিক ও ফলদ গাছ হিসেবে এ গাছ সবাই পছন্দ করেন। নারকেলের এ চারা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ও সাধারণের মাঝে বিতরণের পর স্বল্প জায়গায় তারা তা পরম যতেœ রোপণ করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর