তুরস্কের বায়রাকতার আকিঞ্জি ড্রোন শুক্রবার সফলভাবে ইএলসিন ৮২ এবং লাচিন ৮২ কিটের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত করেছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ বিমান নির্মাতা সংস্থার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। উল্লেখ্য, ইএলসিন ৮২ একটি লেজার গাইডেন্স কিট, যা রকেটসান নামক তুরস্কের প্রতিরক্ষা সংস্থা তৈরি করেছে। একই সংস্থা লাচিন ৮২ গাইডেন্স কিটও তৈরি করে।
বায়রাকতার আকিঞ্জি ড্রোন কৌশলগত মিশনে সাফল্যের জন্য পরিচিত। ইতোমধ্যে ড্রোনটি ৮০ হাজার ফ্লাইট ঘণ্টা সম্পন্ন করেছে। এটি তুরস্কের বিমান চলাচল ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি পরিচালিত পরীক্ষায় আকিঞ্জি ড্রোন সমুদ্রে চলমান আলবাট্রোস আইডিএ নামক লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করে। এ পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয় বিশ্বের সর্বাধুনিক ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেম, আসেলফ্লির-৫০০। এটি তুরস্কের আসেলসান প্রতিরক্ষা সংস্থা তৈরি করেছে।
রপ্তানি ক্ষেত্রেও শীর্ষে বায়কার
২০০৩ সাল থেকে ইউএভি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু করা বায়কার সংস্থা তাদের আয়ের ৮৩% রপ্তানি থেকে অর্জন করেছে। ২০২৩ সালে সংস্থাটি ১.৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে এবং তুরস্কের সকল খাতের শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
বায়কার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ৯০% আয়ের বেশি রপ্তানি থেকে সংগ্রহ করেছে এবং ২০২৩ সালে প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতে মোট রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশ একাই করেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম ইউসিএভি রপ্তানিকারক হিসেবে বায়কার এখন পর্যন্ত ৩৫টি দেশের সঙ্গে রপ্তানি চুক্তি করেছে। এর মধ্যে বায়রাকতার টিবি২ ড্রোনের জন্য ৩৪টি এবং বায়রাকতার আকিঞ্জি ড্রোনের জন্য ১০টি চুক্তি হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল