মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট এমনিতেই সিলেটের চেয়ে খানিকটা বেশি স্পিনসহায়ক। যেখানে সিলেট টেস্টে দুই দলের ৩২ উইকেট নিয়েছেন স্পিনাররা সেখানে মিরপুরে কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। অবশ্য আজ মাঠে নামার আগে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলও স্পিন যুদ্ধের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছে। বাংলাদেশ দলের উইকেট নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। সেটাই স্বাভাবিক। কেননা মিরপুরের উইকেট তৈরিই হয়েছে টাইগারদের চাহিদাপত্র অনুযায়ী!
সিলেট টেস্টে জিতে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে ড্র কিংবা জিতলেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো টেস্টে সিরিজ জয়ের আনন্দে মেতে উঠবে স্বাগতিকরা।
তাই স্পিনারদের প্রাধান্য দিয়েই দল সাজাচ্ছে বাংলাদেশ। মিরপুরে এক পেসার খেলানোর চিন্তা। যদিও গতকাল নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই বলতে চাননি কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে। রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘বেশি তথ্য দিতে চাই না। কারণ, নিউজিল্যান্ড দল হয়তো শুনবে বা পড়বে।’
দল কেমন হবে, এ সম্পর্কে হাতুরা বলেন, ‘আমাদের সমন্বয় কেমন হবে, তা উইকেটের ওপর নির্ভর করবে এবং অবশ্যই আমাদের শক্তিমত্তার ওপর, ওদের (প্রতিপক্ষ) সীমাবদ্ধতার ওপর। সিলেটে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি, পুরো পাঁচ দিনই। আমরা খুব ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমরা সেখানে যে সমন্বয় সাজিয়েছি, তা সিলেটের কন্ডিশন অনুযায়ী সাজিয়েছি।’
আমাদের সমন্বয় কেমন হবে, তা উইকেটের ওপর নির্ভর করবে এবং অবশ্যই আমাদের শক্তিমত্তার ওপর, ওদের (প্রতিপক্ষ) সীমাবদ্ধতার ওপর
চন্ডিকা হাতুরাসিংহে
তবে কৌশলে কোনো পরিবর্তন আনতে চান না কোচ। যদিও সরাসরি কিছু বলেননি। তবে হাতুরাসিংহের কথাতেই পরিষ্কার। কোচ বলেন, ‘মিরপুরে উইকেট কেমন হবে, তা আপনি এখানে দুই সেশন না খেলা পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না। এই মাঠে অনেক খেলা হয়। আমার মনে হয় না, বিশ্বের কোথাও একই ভেন্যুতে এত খেলা হয়। অনুমান করা কঠিন হবে। আমরা খুব বেশি পরিবর্তন করতে চাইব না।’
স্পিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত নিউজিল্যান্ডও। অধিনায়ক টিম সাউদি উপমহাদেশের কন্ডিশনের কথা চিন্তা করে আগে থেকে অতিরিক্ত স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এই কন্ডিশনে স্পিন বড় ভূমিকা রাখবে, এটাই প্রত্যাশিত। প্রথম টেস্টে তাই হয়েছে। এখানকার কন্ডিশনও একই হওয়ার কথা। তবে এটা ঠিক, কাইল (জেমিসন) সিলেটে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছে। এই কন্ডিশনে তাকেও বেশ ভয়ংকর মনে হয়েছে। তবে এখানে সব সময়ই লড়াইটা হবে স্পিনের। এটাই প্রত্যাশিত। দ্বিতীয় টেস্টেও তাই হবে হয়তো।’
সিলেটে নিউজিল্যান্ডের স্পিন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা কাজে আসেনি। ১৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে। তবে মিরপুর টেস্টে মাঠে নামার আগে সতর্ক সাউদি। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স অবশ্যই হতাশাজনক। যেমন ভেবেছিলাম, উইকেট তেমনই ছিল। ভালো উইকেট ছিল। ভিন্ন উইকেট অবশ্যই (মিরপুরে)। তবে আমরা স্পিনসহায়ক উইকেটই হবে ধরে নিচ্ছি। আমাদের উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং আমাদের সেরা সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এখানে খেলতে আসা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। আমরা সামনের পাঁচ দিনের দিকে তাকাতে চাই।’