এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত। কিন্তু আসরটি আয়োজন করছে না দেশটি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) কিছুদিন আগে নিয়ম করেছে, এশিয়া কাপের আয়োজক যদি ভারত কিংবা পাকিস্তান হয়, তাহলে আসর বসবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এবার আয়োজক ভারত। সেজন্যই ৮ দলের এশিয়া কাপ বসবে নিরপেক্ষ ভেন্যু ‘মরুরাজ্য’ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আসরটি মাঠে গড়ানো নিয়ে এক সময় শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা শেষে এশিয়া কাপ মাঠে গড়াচ্ছে। গতকাল রাতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) টুর্নামেন্টের ভেন্যু ও সূচি ঘোষণা করেছে। বিকালে এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি সামাজিক যোগাযোগ এশিয়া কাপের ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তারিখ ৯-২৮ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেছিলেন। চেয়ারম্যানের পোস্টের আধা ঘণ্টার মধ্যে এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করেছে এসিসি। ৮ দলের টুর্নামেন্ট শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচ দিয়ে। ফাইনাল ২৮ সেপ্টেম্বর। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। গ্রুপে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে আফগানিস্তান, হংকং ও শ্রীলঙ্কা। ‘এ’ গ্রুপে খেলবে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। টুর্নামেন্টে লিটন বাহিনীর প্রথম ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর, হংকংয়ের বিপক্ষে। ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১৬ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ১৪ সেপ্টেম্বর।
এবারের এশিয়া কাপের আসর টি-২০ ফরম্যাটে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টি-২০ বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতি নিতেই এশিয়া কাপ আয়োজন করা হচ্ছে টি-২০ ফরম্যাটে। এর আগে আরও দুবার টি-২০ ফরম্যাটে এমিয়া কাপ হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রথমবার হয়েছিল। দ্বিতীয়বার হয়েছিল ২০২২ সালে। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে রানার্সআপ হয়েছিল। ২০২২ সালে ৬ দলের টুর্নামেন্টে সুপার ফোরে খেলতে ব্যর্থ হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ। আসরের আগে লিটন দাসদের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। মাত্র পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ শেষ করেছে টাইগাররা। এশিয়া কাপের আগে তাই প্রস্তুতি নেওয়ার মতো কোনো সিরিজ নেই লিটন বাহিনীর। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস, এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে একটি সিরিজ আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিসিবির কাছে। বিসিবি চেষ্টা চালাচ্ছে একটি সিরিজ আয়োজনের। বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম গতকাল মিডিয়ার মুখোমুখিতে সিরিজ নিয়ে বলেন, ‘বড় কোনো দেশ এ মুহূর্তে পাওয়া যাবে না। কারণ, তারা তাদের বিভিন্ন স্ক্যাজুয়াল নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। আমাদের মনে হয় অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সিরিজের আয়োজন হতে পারে। নেদারল্যান্ডস কিংবা নেপালের মতো দেশের সঙ্গে হতে পারে। সিরিজ আয়োজনের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
পাকিস্তান সিরিজের পর ১০-১২ দিনের বিশ্রাম পাচ্ছেন। এশিয়া কাপে ভালো করতে আগামী ৮-১০ আগস্টের মধ্যে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি শুরুর কথা বলেন বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান, ‘আমরা চেষ্টা করছি একটি সিরিজ আয়োজনের। সেটা দেশে হতে পারে, কিংবা দেশের বাইরেও হতে পারে। ক্রিকেটাররা টানা ক্রিকেট খেলেছে। ক্লান্তি জুড়াতে এখন বিশ্রামে রয়েছে। আগামী ৮-১০ আগস্ট অনুশীলন ক্যাম্প শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই ক্যাম্পে একজন বিগ হিটিং ব্যাটিং কোচ যোগ দিতে পারেন।’