পাকিস্তানের বিপক্ষে হকিতে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ খেলবে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জায়গা পেতে এ লড়াই। এবারের এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। পরের পাঁচ দেশকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব। পাকিস্তান এশিয়া কাপ বয়কট করায় বাংলাদেশ চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পায়। আসরে ষষ্ঠ স্থান দখল করেছিল বাংলাদেশ। সেই হিসেবে বাছাইপর্বেও খেলার কথা। টুর্নামেন্ট ঘিরে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের নিয়মেও তাই ছিল। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের তার পরও খেলা হচ্ছে না। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার এখনো সুযোগ রয়েছে। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচ জিতলেই পূরণ হবে স্বপ্ন।
এশিয়া কাপে শুধু পাকিস্তান নয় ওমানও খেলেনি। নিয়ম অনুযায়ী তো দুই দেশেরই বাছাইপর্ব রেসে থাকার সম্ভাবানও ছিল না। কিন্তু এশিয়ান হকি ফেডারেশন বিশেষ নিয়ম করে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ দিয়েছে। বলা যায় নিয়ম ভেঙে আবার বিশেষ নিয়ম তৈরি করেছে এশিয়ান হকি ফেডারেশন। এতেই গ্যাড়াকলে পড়ে গেছে বাংলাদেশ হকি দল। র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানের কারণেই পাকিস্তানকে এ সুযোগ দেওয়া রয়েছে। এশিয়ান হকি ফেডারেশন সেটাই তুলে ধরেছে। এমন কাণ্ডে প্রমাণ মেলে এশিয়ান হকি ফেডারেশন কতটা দুর্বল। কাজাখস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব নিশ্চিত হয়েছিল। শেষ ম্যাচে জাপানের কাছে হারলেও শীর্ষ ছয়ে থেকে খেলত। নিয়ম বদল করায় নতুন করে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের টিকিট পাবে। তা কি সম্ভব? প্লে-অফে দুই দেশ তিন ম্যাচ খেলবে। শক্তির বিচারে বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। প্রশ্ন হচ্ছে এ ম্যাচ হবে কোথায় ঢাকায় না পাকিস্তানের কোনো শহরে। বাংলাদেশ ম্যাচ আয়োজনে আগ্রহী কি না তা জানতে চাওয়া হয় হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসানের কাছে। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের শিডিউল এখনো ঠিক হয়নি। ঢাকায় ম্যাচ আয়োজনে হকি ফেডারেশন আগ্রহী। হকি ফেডারেশন অফার করলেই সাড়া দেব। এ ব্যাপারে আমরা আগাম এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সঙ্গে আলাপ করব। প্রয়োজনে পাকিস্তানের সঙ্গেও কথা বলতে পারি। যদিও এর আগেও পাকিস্তান জাতীয় দল ঢাকায় খেলে গেছে। তার পরও টানা তিন ম্যাচে দর্শকদের আগ্রহ থাকবে অন্য রকম।’