এই কি সেই মোহামেডান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ প্রশ্নটা অনেকের মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছে। লিগের প্রথম ম্যাচে ফেডারেশন কাপ রানার্সআপ মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ড্র করেছিল। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি গোলে কোনোভাবে সাদাকালোরা হারিয়ে ছিল। গতকাল পেশাদার ফুটবল লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহামেডান মুখোমুখি হয়েছিল উত্তর বারিধারার সঙ্গে। বলা যায়, লিগে সবচেয়ে দুর্বল দল এটিই। উদ্বোধনী ম্যাচেই মিঠুনের হ্যাটট্রিকের কৃতিত্বে শেখ রাসেল ৪-০ গোলে পরাজিত করেছিল উত্তর বারিধারারকে। প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট হারানটা না হয় সমর্থকরা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু বারিধারার সঙ্গে মোহামেডানের এই রূপ কি মানার মতো। আসলে ঐতিহ্যবাহী দলের হয়েছেটা কি? ১০ বছর ধরে লিগ পাচ্ছে না। সে কারণে গত তিন বছর শক্তিশালী দল গড়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল না কেউ। কিন্তু এবারতো আর দুর্বল নয়। কোটি কোটি টাকা খরচ করে তারকাদের দলে টানে। শেখ জামালের পর তাদেরকে সেরা দল বলা যায়।
কোটি টাকার দলের একি করুণদশা। উত্তর বারিধারার সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করে সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়েছে। সত্যি বলতে কি এই মোহামেডান যে লিগে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দল তা ভাবতেই অনেকে অবাক হয়ে যান। কর্মকর্তাদের দোষ দেবেন তাও উপায় নেই। ভালোমানের দল এমনকি পর্তুগাল থেকে কোচও উড়িয়ে এনেছে। বিনিময়ে হতাশা ছাড়া কিছুই আসছে না। অধিনায়ক জাহিদ হোসেন এমিলি ও ফুটবল ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু দল বদলের পর বলেছিলেন, এবার তাদের লক্ষ্য সব ট্রফি। ফেডারেশন কাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেই বিদায় নিয়েছিল। লিগ জেতাও যে অসম্ভব তা দুই ম্যাচের ব্যর্থতায় আভাস দিয়েছে। একথা ঠিক গতকাল অধিকাংশ সময়ে ম্যাচ মোহামেডানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অসংখ্য গোলের সুযোগও এসেছিল। কিন্তু লাভ কি, গোলতো আর দিতে পারেনি। মোহামেডানের ফুটবলারদের ভাগ্য ভালো বলতে হয়। আগের মতো যদি গ্যালারিতে সমর্থকদের ভরপুর থাকত তাহলে তাদের কপালে কি যে জুটত তা বলা মুশকিল ছিল। তারপরও তিরস্কার কম শুনতে হয়নি। দুই ম্যাচে মূল্যবান ৪ পয়েন্ট নষ্ট। শেষ পর্যন্ত মোহামেডানের অবস্থান কতটা লজ্জাকর হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।