দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। অথচ দুই ম্যাচেই জিততে পারত টাইগাররা। আগের ম্যাচের ফলও নিষ্পত্তি হয়েছে শেষ বলে। কালকের ম্যাচেও বাংলাদেশের আক্ষেপ বাড়িয়ে দিয়েছে ইনিংসের শেষ বল। ফরহাদ রেজার করা শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৯ রান। কিন্তু প্রথম পাঁচ বলে ৭ রান করে ফেলে লঙ্কানরা। শেষ বলে তৈরি হয় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান। কিন্তু সেনানায়েকে স্কোয়ার লেগ দিয়ে বল পাঠিয়ে দেয় মাঠের বাইরে। তিন উইকেটের দারুণ এক জয় পেল শ্রীলঙ্কা, আবারও শেষ বলের বিড়ম্বনায় পড়ে বাংলাদেশ! এমন ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় আক্ষেপ গোটা দেশেই। প্রথম ম্যাচে ঠিক একই পরিস্থিতিতে ছিল বাংলাদেশ। শেষ বলে ৩ রান হলেই নিশ্চিত হয়ে যেত জয়। উইকেটে বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যান এনামুল জুনিয়র থাকার পরও কোনো রান নিতে পারেনি। আর কাল লঙ্কান লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান সচিত্র সেনানায়েকে বাজিমাত করে দিলেন। ২-০ ব্যবধানে টি-২০ সিরিজ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। কাল পরাজয়ের জন্য অধিনায়ক মাশরাফির দুর্বল সিদ্ধান্তকেও দায়ী করছেন অনেকে। কেননা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দুই ওভার বাকি থাকার পরও শেষ ওভারে মাশরাফি বল দেন ফরহাদ রেজার হাতে। ভালো বোলিং করেছেন আরেক স্পিনার আরাফাত সানীও। তারও বাকি ছিল দুই ওভার। তা ছাড়া কাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্পিনাররাই ভালো বোলিং করেছেন। পেসাররা বেশি রান দেওয়ার পরও মাশরাফি কাল বেশি ভরসা রেখেছিলেন তাদের ওপরই। চার ওভার বল করে রুবেল দিয়েছেন ৩৪ রান, মাশরাফি দিয়েছেন ২৯ রান, আর ফরহাদ রেজা দুই ওভারে দিয়েছেন ১৬ রান। তবে দুই ম্যাচেই হারলেও টি-২০র সেরা দল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করেছে বাংলাদেশ _সব হারিয়ে সান্ত্বনা হয়ত এটাই।