বাংলাদেশে কফির চেয়ে চা-ই বেশি জনপ্রিয়। অলস সময় কাটানোর জন্য কিংবা কোনো আলোচনার জন্য চায়ের বিকল্প নেই। এমনকি মেহমানদারিতেও চায়ের কদর অনেক বেশি। সমাজের প্রায় সব শ্রেণীর মানুষই চা পানে অভ্যস্ত। তবে কফির ক্ষেত্রে এখনো তেমন একটা অভ্যস্ত হয়নি বাংলাদেশ। ঘরে তো কফি পাওয়া যায়ই না, এমনকি সব দোকানেও কফি পাওয়া যায় না। বর্তমানে উচ্চবিত্ত এবং ছাত্রদের মধ্যে কফি বেশ কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চায়ের ক্ষতিকর কিছু দিক থাকলেও কফির ক্ষেত্রে তেমন কোনো বিষয় নেই। অনেক ভালোমানের খাবারের চেয়েও বেশি উপকারিতা নিয়ে আসে কফি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি পান করলে তা কেবল একটি পানীয় হিসেবেই গ্রহণ করা হবে না, সেই সঙ্গে শরীরের কলস্টেরলও কমিয়ে দেয়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায়। কফিপান স্ট্রোকের ঘটনা অনেক কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি কার্যকর। নানা কারণে যেসব নারী স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন তাদের জন্য কফি অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয়। এ ছাড়া যারা অতিরিক্ত কফি পান করেন (দিনে ছয় বা তার চেয়ে বেশি) তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কফিপান ব্রেনের জন্যও ইতিবাচক। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত কফিপানে মস্তিষ্ক বিকৃতির আশঙ্কা ৬৫ শতাংশ কমে যায়। পারকিনসন্সের ঝুঁকিও কমে যায় এতে। এ ছাড়া পরিমিত কফিপান মেয়েদের গলস্টনের ঝুঁকি কমায়। পুরুষের গলব্লাডারেরও ঝুঁকি কমায় এটি। হজমশক্তিও বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত কফিপান ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়। লিভার ক্যান্সারেরও তেমন একটা ঝুঁকি থাকে না।
কফিপান শরীরের অতিরিক্ত চর্বিও কমিয়ে দেয়। কফিপান প্রস াবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় বলে অনেকেই কফি এড়িয়ে চলেন। তবে এতে শরীর অতিরিক্ত চর্বির কবল থেকে বাঁচতে পারে। কফিপান দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। এ ছাড়া মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে তাও দূর করে। নিয়মিত অন্তত দুই কাপ কফি পান করলে অতি সহজেই সুস্থ থাকা সম্ভব।