বাংলাদেশের নতুন জার্সি
টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নতুন সাজে মাঠে নামছে। টাইগারদের নতুন জার্সিতেই দেখা যাবে বিশ্বকাপের মাঠে। নতুন জার্সির ডিজাইন করেছে সেজান লিংকন। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সির ডিজাইনও করেছিল সেজান লিংকন। টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন জার্সি প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশ্বমানের এই জার্সি তৈরি করে দিয়েছে : বীবিধাব নামের একটি আন্তর্জাতিক বায়িং। কাপড়ের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের স্পোর্টস ফ্যাব্রিক কুল ম্যাক্স , কুল প্লাস ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘ ৩ মাসের টানা পরিশ্রম আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহযোগিতায় তৈরি হল এই জার্সি।
ফুটবল ফুটবলই
টি-২০ বিশ্বকাপ চলা অবস্থায় ঢাকায় স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। স্বাধীনতার মাসে এ আয়োজন দেখে অনেকে ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বিশ্বকাপ ক্রিকেট উন্মাদনার মধ্যে এ টুর্নামেন্ট জমবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, বিশ্বকাপ হলেই বা কি, ফুটবলে আগের সেই জোয়ার আছে কিনা। গ্যালারিতে দর্শক আসাটা স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বাফুফে এক কর্মকর্তা অবশ্য এটা মানতে রাজি নন। তার কথা ফুটবল ফুটবলই, এর সঙ্গে অন্য খেলার তুলনা চলে না। ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছাড়া গ্যালারিতে দর্শক আসে না। সেদিক দিয়ে ফুটবল এখনো অনেক এগিয়ে। দেখবেন স্বাধীনতা কাপ সেমি ও ফাইনালে ঠিকই সাড়া পড়বে।
পানিও ফ্যাক্টর
এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার পরও আফগানিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশে অবস্থান করছে। অবশ্য না যাওয়ার যথেষ্ট যুক্তিও ছিল তাদের। কারণ ১৬ মার্চই তারা বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে এই খেলা অনেকটাই ফাইনালের সঙ্গে তুলনা করা যায়। কেননা যারা জিতবে তারাই চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে বেশি বেশি খাপ খাওয়াতে এশিয়া কাপের পর দেশে ফিরে যায়নি। কেউ কেউ অবশ্য এর পেছনে পানিকে মূল ফ্যাক্টর মনে করছেন। কেন জানি ঢাকার পানি আফগানদের খুব একটা সহ্য হচ্ছিল না। কারো কারো পেট খারাপ হয়েছে। সুতরাং বেশি বেশি পানি খেয়ে নিজেদের সুস্থ রাখতেই আফগানরা নাকি দেশে ফিরে যাননি।
আকাশ-পাতাল
আর মাত্র ক'দিন পরই বাংলাদেশে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন হতে যাচ্ছে। সত্যি বলতে কি এ নিয়ে ঢাকাবাসীর মধ্যে তেমন উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অথচ ২০১১ সালে যৌথভাবে আয়োজন করেও মূল বিশ্বকাপের সময় ঢাকা কেন, পুরো দেশই যেন জেগে উঠেছিল। বিসিবির এক কর্মকর্তা অবশ্য স্বীকার করেছেন টি-২০ আর মূল বিশ্বকাপের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। ২০১১ সালে তার ছয় মাস আগে থেকেই ব্যস্ততার কারণে ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল।