মুম্বাইয়ের বস্তি নিয়ে নির্মিত 'স্ল্যাম ডগ' পরিচালনা করেন ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক ড্যানি বয়েল। সিনেমাটি আটটি ক্যাটাগরিতে অস্কার পুরস্কার জিতে। তার অন্যতম ছিল সুর কম্পোজিশন ক্যাটাগরি। সেই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছিলেন আল্লা রাখা রহমান বা এ আর রহমান। বিশ্বখ্যাত এই তারকা এখন ঢাকায়। আসেন 'বিসিবি সেলিব্রেশন কনসার্ট' অনুষ্ঠানে গান গাইতে। শুধু এই অস্কারজয়ী শিল্পীই নন, এসেছেন আরেক বিশ্বখ্যাত শিল্পী সেনেগালিজ-আমেরিকান শিল্পী অ্যাকন। এই দুই বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর গান শুনতে কাল সঙ্গীতভক্তদের ঢল নেমেছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
সেই অনুষ্ঠান দেখতে ভর দুপুরে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্রী মেহনাজ তাবাসসুম তাজিন। শুধু তাজিন নন, তার সঙ্গে এসেছেন তার বিভাগের আরও ১০জন। তারা টিকিট কেটেছেন ৫০০০ টাকার মূল্যের টাকা টিকিট। স্টেডিয়ামে ঢোকার আগে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকা নেচে গেয়ে মাতিয়ে তোলেন। এক ঘণ্টার মতো নেচে গেয়ে মাতানোর পর ক্লান্ত শরীরে ঢুকে পড়েন স্টেডিয়ামে। কিন্তু তাদের আফসোস নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের পতাকা নিয়ে ঢুকতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত এসব দুঃখ আর তাদের থাকেনি। মাঠে যখন দুই দুটি অস্কার, দুটি গ্রামী, ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ও ১৫টি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডজয়ী এ আর রহমানের গান শোনার পর মুগ্ধতায় ভরে গেছে তাদের মন। অস্কারজয়ী শিল্পীর গান শুনতে পারা জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি বলেছেন মেহনাজ, 'আমার স্বপ্নের শিল্পী এ আর রহমান। আমি তার ভক্ত হয়েছি রোজা সিনেমায় শুনে। এরপর বন্দে মাতরম গানটি ভালো লেগেছে। আসলে তার গান, সুর সব কিছুই ভালো লাগে। আজকের (কাল) দিনটা আমার সারা জীবন মনে থাকবে।' কালকের অনুষ্ঠানটি ছিল দুই ধারায় বিভক্ত। ঘড়ির কাঁটায় যখন ৪ টা বেজে ৫৫ মিনিট। তখন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুনমুন। মুনমুনের ঘোষণার পরপরই স্টেজে আসে অর্নব। তিনটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন এই তরুণ শিল্পী।