তিন ম্যাচে শোচনীয় হার। এরপরও আশায় ছিলাম অস্ট্রেলিয়াকে হারাবো। না পরাজয় বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি মুশফিকরা। তবে শেষ ম্যাচে পারফরম্যান্স একেবারে হতাশাজনক ছিল না। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে। ৫২ বলে সাকিব ৬৬ রান সংগ্রহ করেন। এটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি। মুশফিকও এ কৃতিত্বের কাছে এসে মাত্র তিন রানের জন্য বঞ্চিত হন। রান যদি আরও ৩০ বা ৪০ বেশি হতো তাহলে ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে এটাই সত্যি বাংলাদেশ টপ টেনে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। প্রাপ্তি বলে যা ছিল তা বাছাই পর্বে আফগানিস্তান ও নেপালের বিপক্ষে জয়। আর লজ্জার কথা বললে আমি সুপারটেনে টানা হারকে চিহ্নিত করব না। বলব হংকংয়ের কাছে হারই দেশবাসীকে লজ্জায় ডুবিয়েছে। তবে ধন্যবাদ দিতে হয় সালমাদের। মুশফিকরা না পারলেও মহিলা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একটি জয় নিয়ে বিদায় নিয়েছে। তাও আবার শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মুশফিকদের এমন পারফরম্যান্সে অবশ্যই তদন্ত করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিসিবির সভাপতি পাপন ভাই সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন। তদন্ত করা মানে এই নয় যে কাউকে শাস্তি দেওয়া। তবে শৃঙ্খলা কেউ ভেঙে থাকলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বিশ্বকাপে ব্যর্থতা মানে এই নয় যে বাংলাদেশের ক্রিকেট শেষ হয়ে গেছে। ঘুরে দাঁড়াতে এখনই নার্সিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। একটি বিষয়ে কেউ আমার ওপর নাখোশ হতে পারেন। তারপরও বলব তদন্ত যেন শুধু ক্রিকেটারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। টিম ম্যানেজমেন্ট এমনকি প্রয়োজন পড়লে বোর্ড পরিচালকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। কেননা আমরা যারা এখন দায়িত্বে আছি আমাদের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ধরে নিলাম এগুলো গুঞ্জন বা সত্যের কোনো ভিত্তি নাও থাকতে পারে। তারপরও সময়টা খারাপ বলে তদন্তটা স্পষ্টভাবে হওয়া উচিত। গ্রেট ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলিও বাংলাদেশের দুর্বল পারফরম্যান্স দেখে হতবাক। আসলে সৌরভ দাদা কেন, বিদেশি যে বন্ধুর সঙ্গেই স্টেডিয়ামে দেখা হচ্ছে তাদের একটা প্রশ্ন সুজন তোমাদের টিমের এ অবস্থা কেন? জয়-পরাজয় নিয়েইতো খেলা। কিন্তু বাংলাদেশের এমন করুণ পরিণতি হবে কেন? কেন হচ্ছে এটা যতদ্রুত বের করা যাবে ততই বাংলাদেশ দলের জন্য মঙ্গল হবে।