আপনার নেতৃত্বে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলো ঢাকা...
চার দিনের টুর্নামেন্টে ঢাকা বিভাগ এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমার নেতৃত্বে। এর আগে দুইবার রানার্স আপ হয়েছে ঢাকা। এছাড়া আমার অধিনায়কত্বে ২০১০-১১ মৌসুমে ওয়ানডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঢাকা।
অন্যান্য দলের মতো আপনার দলে তারকা ক্রিকেটার নেই। প্রায় সবাই তরুণ। এমন একটি দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কেমন লাগছে?
খুবই ভালো লাগছে। এটা ঠিক অন্য দলগুলোর মতো আমাদের তারকা ক্রিকেটার নেই। তবে দলের তরুণ ক্রিকেটাররা কিন্তু অনেক প্রতিভাবান। তারা অসাধারণ খেলেছেন পুরো আসর জুড়ে। ক্রিকেটারদেরকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই টিম ম্যানেজমেন্টকে। যারা মাঠের বাইরে থেকে পুরো দলকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। ম্যানেজার আলী হোসেন ভাইয়ের কথা না বললেই নয়। তিনি যেভাবে আমাদের উৎসাহ যুগিয়েছেন, সেটা অসাধারণ। এছাড়া আমাদের দুই কোচ ওয়াহিদুল গনি ও জাহাঙ্গীর আলমকেও ধন্যবাদ। মোটকথা আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি টোটাল টিম ওয়ার্কের জন্য।
এশিয়া কাপের পর টি-২০ বিশ্বকাপেও ব্যর্থ বাংলাদেশ?
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারটিকে আমি অঘটন মনে করি। তারপরও আমাদের জেতা উচিত ছিল। টি-২০ বিশ্বকাপে আমার মনে হয়েছে ক্রিকেটারদের আত্দবিশ্বাসে ঘাটতি ছিল। এছাড়া বাছাইপর্ব খেলতে হবে-এই চাপটাও সামাল দিতে পারেনি ক্রিকেটাররা। বাছাইপর্ব খেলার কথা ভেবে মানসিকভাবে পিছিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। এছাড়া মাঠের বাইরের অনেক কিছুও দলের ক্রিকেটারদের উপর বাড়তি চাপ ফেলেছিল বলে আমি মনে করি।
টানা হারে দল এখন বিপর্যস্ত। এই বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি?
ভালো খেলতে হলে ক্রিকেটারদের শুধুমাত্র ক্রিকেটের প্রতিই মনোযোগী হতে হবে। ক্রিকেটের বাইরে অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে না। যদি কোনো কারণে বাইরের কোনো কিছুর প্রভাব পড়ে, তাহলে সেটা ক্রিকেট খেলায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। মূল কথা হচ্ছে, ক্রিকেটারদের শুধুমাত্র ক্রিকেটের প্রতিই মনোনিবেশ করতে হবে।
২০১৫ সালে বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। সেখানে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কেমন হতে পারে?
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উইকেটে বাউন্স, সুইং বেশি। সেখানে ভালো করতে হলে এমন ধরনের উইকেটে অনুশীলন করান উচিত ক্রিকেটারদের। সেজন্য আপনাকে স্পোর্টিং উইকেট বানাতে হবে। স্পোর্টিং উইকেট হলেই ক্রিকেটাররা সুইং ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন। তাহলেই ভালো করার সুযোগ থাকবে।
জাতীয় দলের কোচ দেশি না বিদেশি হলে ভালো হয়?
দেশি কিংবা বিদেশি যিনিই দলের কোচ হউন না কেন, তাকে দলের সবার সঙ্গে মিশতে হবে। তার কথা ক্রিকেটারদের বুঝতে হবে। একজন কোচ শুধুমাত্র কয়েকজন ক্রিকেটারের জন্য নয়। পুরো দলের জন্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি জাতীয় দলের জন্য দেশি কোচ হলেই ভালো হয়।