বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম দুই আসরের টানা চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। এরমধ্যে দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার বিষয় প্রমাণিত হয়েছে দলটির বিপক্ষে। দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব জিসান চৌধুরী নিষিদ্ধ হয়েছেন ট্রাইব্যুনালের রায়ে। কাল সংবাদ সম্মেলন করে দলের মালিক সেলিম চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স এখন থেকে আর বিপিএলে অংশ নিবে না। গ্ল্যাডিয়েটর্স অংশ না নিলেও টুর্নামেন্টটি চলমান রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন বিসিবিকে।
দ্বিতীয় আসরে দুটি ম্যাচ ফিক্সিং করে গ্ল্যাডিয়েটর্স। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুল নিজেই স্বীকার করেছেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার বিষয়। এছাড়া আকসু তদন্ত করে ৯ জন ক্রিকেটার ও সংগঠককে দোষী সাব্যস্থ করে। অভিযুক্তদের বিষয়ে পুনরায় তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল কমিটি গঠন করে বিসিবি। সেই কমিটি অভিযুক্তদের মধ্যে সাতজনকে নির্দোষ ঘোষণা করে। কিন্তু যে দুই জন অভিযুক্ত হয়েছেন, তার একজন শিহাব চৌধুরী।
অদূর ভবিষ্যতে বিপিএলে অংশ না নেওয়ার বিষয় জানাতেই গ্ল্যাডিয়েটর্স চেয়ারম্যান সেলিম আয়োজন করেন সংবাদ সম্মেলন। সেখানে তিনি বলেন, 'আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি। ভালোবাসি বলেই বিপিএলে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু না করেও দুর্নাম কুড়াতে হয়েছে আমাদের। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কোনো অপবাদ মাথায় নিব না। সেজন্য বিপিএলও খেলব না। ট্রাইব্যুনালের রায় আমাদের পক্ষে আসুক, বা নৃা আসুক, আমরা আর এর মধ্যে নেই। যদি কেউ ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স কিনতে চায়, তাদের স্বাগতম।' নিজেরা না খেললেও বিপিএল নিয়মিত আয়োজনের পক্ষে সেলিম চৌধুরী, 'আমরা চাই বিপিএল নিয়মিত হউক। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। তাই বলে আইপিএল থেমে থাকেনি। বিসিবিরও উচিত বিপিএল আয়োজন করা।' বিপিএল চালু করার পক্ষে কথা বলে গ্ল্যাডিয়েটর্সের মালিক জানান, এটা বন্ধ করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে।
মাহাবুবুল আলম রবিন ও মোশাররফ হোসেন রুবেরের জাতীয় ক্রিকেটে না খেলার বিষয়ে গ্ল্যাডিয়েটর্স চেয়ারম্যান বলেন, 'আমি আশা করেছিলাম তারা খেলতে পারবেন। কিন্তু পারেননি। কেন পারেননি, আমি জানিনা।