মাঝখানে বেশ কিছুদিন রাস্তার আন্দোলনের তেজ কম ছিল ব্রাজিলে। তবে বিশ্বকাপ নিকটে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ-প্রতিরোধও বাড়ছে। 'ফিফা গো ব্যাক হোম' (ফিফা বাড়ি ফিরে যাও) লেখা ব্যানার নিয়ে সরকারবিরোধীরা বিশ্বকাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিলিয়ান সরকার নিরাপত্তা আইন প্রস্তুত করতে চলেছে। দেশের প্রায় সবার মতামত উপেক্ষা করে প্রথমবারের মতো অ্যান্টি টেরোরিজম আইন করতে চলেছে ব্রাজিল। এর আগে সন্ত্রাসবিরোধী কোনো আইনই ছিল না দেশে। এর কারণ, ১৯৮৫ সালের আগে স্বৈরতান্ত্রিক শাসকরা অ্যান্টি টেরোরিজম আইনকে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করত। ল্যাটিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশেই সন্ত্রাসবিরোধী কোনো আইন নেই। তবে ব্রাজিলিয়ান কংগ্রেসে ৪৪৯ নম্বর প্রস্তাবে অ্যান্টি টেরোরিজম আইন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই আইন সম্ভবত পাস হয়ে যাবে কংগ্রেসে। যদি তাই হয় তবে বিশ্বকাপ চলাকালীন যে কোনো বৈধ প্রতিবাদ সমাবেশেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া যাবে আটক ব্যক্তিকে। ৪৪৯ নম্বর বিলে বলা হয়েছে, 'সন্ত্রাসী কাজ করা বা সন্ত্রাসী কাজে উৎসাহ দেওয়া যা জীবনের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটায় অথবা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে অথবা স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় অথবা ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করে' তাকেই সন্ত্রাসী আইনের আওতায় আনা যাবে।