কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে স্বল্প পরিসরের টুর্নামেন্টের সুপার টেন খেলতে বাছাইপর্বের ব্যারিয়ার ডিঙাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২০১৬'র টি-২০ বিশ্বকাপ আসর বসবে ভারতে। সেখানেও মূল পর্বে জায়গা নিতে বাছাইপর্বের গণ্ডি ডিঙাতে হবে টাইগারদের। একইভাবে ২০১৯ আইসিসি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে বাংলাদেশকে খেলতে হতে পারে বাছাইপর্ব। ২০১১ সালের জুন মাসে আইসিসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে ১০ দলের টুর্নামেন্ট খেলতে আইসিসির ৬ সহযোগী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে খেলতে হতে পারে বাছাইপর্ব। তবে সরাসরি খেলার সুযোগও থাকছে। এজন্য ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ৮ নম্বরে জায়গা করে নিতে হবে বাংলাদেশকে।
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। আসন্ন আসরে অংশ নিবে ১২ দল। টুর্নামেন্টে সরাসরি অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডে এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ সালে বসেছিল বিশ্বকাপ। ১৯৯৯ সালেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে খেলবে ১০ দল। ১০ দলের বিশ্বকাপের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয় ২০১১ সালের জুনে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৮ দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার। বাকি দুটি দল খেলবে বাছাইপর্ব থেকে। টেস্ট খেলুড়ে দেশের ৯ ও ১০ নম্বর দল বাছাই পর্ব খেলবে আইসিসির শীর্ষ ৬ দলের সঙ্গে। কাল বিসিবির ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামুদ্দিন সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করেন, 'বাংলাদেশকে বাছাইপর্ব খেলতে হবে এখনই নিশ্চিত নয়। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকতে পারে, তাহলে বাছাইপর্ব খেলতে হবে না। না থাকলে খেলতে হবে।' ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলবে ৪৪টি। বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে ২০১৮ সালে। ২০২২ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে জিম্বাবুয়েতে। ২০১৩ সালের জুন মাসে আয়োজক চূড়ান্ত করে আইসিসি। শুধু ওয়ানডেতেই র্যাঙ্কিং বাড়াতে হবে এমনটি নয়, টেস্টেও র্যাঙ্কিং সামনের দিকে নিতে হবে বাংলাদেশকে। না হলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ চ্যাম্পিয়ন আইসিসি সহযোগী দেশের বিপক্ষে খেলতে হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সুতরাং সব মিলিয়ে পারফরম্যান্সের গ্রাফটাকে উঁচুতে টেনে নেওয়াই এখন জরুরি টাইগার ক্রিকেটারদের।