টেবিল টেনিসের বর্তমান অবস্থার একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা....
দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল প্লেয়ারদের খেলায় সম্পৃক্ত করা। এরই মধ্যে চারটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে স্কুল টেবিল টেনিস। এখানে ১৯২ জন প্রতিযোগী ছিল। এদের মধ্যে মেয়ে ছিল ৩৭ জন। এছাড়া আমরা প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। বগুড়াতে ৫০ জনের মতো একটা গ্রুপ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। টেবিল টেনিসকে লোকজনের সামনে নিয়ে আসাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।
দায়িত্ব নেওয়ার পর কি কি করেছেন এবং কি কি করতে চান?
এরই মধ্যে আমরা চারটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। আরও চারটা আয়োজন করব এ বছর। বিভিন্ন জেলা ভ্রমণ করে টেবিল টেনিসকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তাছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে এই খেলাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। চৌদ্দ বছর পর প্রথমবারের মতো স্কুল চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করতে চাই। আরও অনেক স্বপ্ন রয়েছে। কিন্তু এসব করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। অর্থেরও প্রয়োজন।
কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন?
প্রধান সমস্যা অর্থ। ক্রিকেটে যেমন স্পন্সর পাওয়া যায় সহজে এখানে তা সম্ভব হয় নয়। আর সরকারি অনুদানে বছরে বড়জোর একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা সম্ভব। এখানে স্পন্সর পাওয়া গেলে ভালো করা সম্ভব। যেমন এবারের ন্যাশনালে ১৫ বছরের একটা বালক (হৃদয়) সিনিয়রদের সঙ্গে ফাইট করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এমন তরুণ তারকা উঠে আসবে নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন হলেই। আমাদের প্রথম প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষক।
অতীতের সঙ্গে বর্তমানের তুলনা...
এখন প্লেয়াররা এদিকে আসতে চায় না। সবাই ক্রিকেটের পিছনেই ছুটে। আসবেই বা কেন, বলুন। অর্থ নেই এখানে। এরফলে পেশাদার প্লেয়ার তৈরি হচ্ছে না। অতীতেও এই সমস্যা ছিল। তবে তখন টেবিল টেনিসের একটা জোয়ার ছিল।
টেবিল টেনিস নিয়ে কেমন স্বপ্ন দেখেন?
অনেক স্বপ্ন আছে। আমি এখন অ্যাডহক কমিটিতে আছি। এখনো পাঁচ মাস হয়নি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এরইমধ্যে যতটুকু সম্ভব করেছি। আরও অনেক পরিকল্পনা আছে। সময় ও সুযোগ পেলে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।
-সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন রাশেদুর রহমান