উয়েফা সুপার কাপে রাদামেল ফ্যালকাওয়ের হ্যাটট্রিকে চেলসিকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ২০১২ সালের ঘটনা এটা। এর তিন বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে চেলসির কাছে পরাজয় স্বীকার করেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। গত চার বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে ইউরোপীয়ান ফুটবলে। সেরা ক্লাবের তালিকায় এখন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের নাম অনেকটা উপরের দিকে। এর প্রমাণ তো, বার্সেলোনাকে টপকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালে উঠে আসাই! আজ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ভিসেন্ট ক্যালডেরনে মুখোমুখি হচ্ছে চেলসি-অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
লুই আরাগোনসদের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ১৯৭৪ সালে গার্ড মুলারদের সামনে বাধার প্রাচীর দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন আরাগোনসরা।
ব্রাসেলসের প্রথম ফাইনালটা ১-১ গোলে অমীমাংসিতই ছিল। গোল করেছিলেন আরাগোনস নিজেই। তবে দ্বিতীয় ফাইনালে উলরিচ-মুলারদের দাপুটে ফুটবল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ইউরোপ সেরার মুকুট থেকে বঞ্চিত করেছিল। এরপর তো ইউরোপীয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ আসরে আর ফাইনালই খেলা হয়নি অ্যাটলেটিকোর। ইউরোপা লিগ জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা রয়ে গেছে অধরাই। এই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিবেচনায় চেলসি অনেকদূর এগিয়ে। ২০০৮ সালে প্রথম ফাইনাল। ২০১২ সালে শিরোপা জয়। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিজাত ক্লাবের তালিকায় চেলসি নাম লিখিয়েছে অনেক আগেই। এখন চেলসির বিপক্ষেও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ হিমালয়ের উচ্চতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আজকের লড়াইটা দুই দলের চেয়েও বেশি করে দুই কোচের। দিয়েগো সাইমন এখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পাননি। অন্যদিকে হোসে মরিনহো এরই মধ্যে পোর্তো ও ইন্টার মিলানের কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেছেন। তবে আর্জেন্টিনায় একজন সফল কোচ হিসেবেই পরিচিত দিয়েগো সাইমন। এস্তুদিয়ান্তেস ও রিভার প্লেটকে তিনি শিরোপা উপহার দিয়েছেন আর্জেন্টাইন লিগের। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদেও চলতি মৌসুমে লা লিগা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। সবমিলিয়ে দুই কোচের লড়াইটাই মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে আজ।