খেলাধুলার প্রতি মানুষের আগ্রহ জন্মগতভাবেই সৃষ্টি হয়। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন খেলা মানুষকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। কেউ কেউ খেলাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেয়। বলতে গেলে, রাজনীতিবিদদের বাদ দিলে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকে খেলোয়াড়দের নামই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো রাজনীতিবিদদেরও ছাড়িয়ে যান ক্রীড়াঙ্গনের তারকারা। তবে খেলাধুলা কেবলমাত্র পেশাদার হিসেবে কিংবা মজা পাওয়ার জন্যই খেলা হয় না। বেশির ভাগ সময়ই শরীর ফিট রাখার জন্যও খেলাধুলা প্রয়োজন। টেবিল টেনিস শরীর সুস্থ রাখার জন্য চমৎকার একটি খেলা। এই খেলার ফলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ দ্রুত কমে যায়।
টেবিল টেনিস অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। এমনকি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কমনরুমে খুবই জনপ্রিয় এই খেলা। ইনডোর গেমস হওয়াতে আরও বেশি সুবিধা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট মাপের টেবিলের মাঝখানে ছোট্ট জাল লাগিয়ে টেবিল টেনিস খেলতে হয়। চীনা ভাষায় এই খেলাকে পিং পং বলা হয়। কাঠের ছোট্ট ব্যাট এবং প্লাস্টিকের গোলাকৃতির ছোট্ট বলে খেলতে হয় টেবিল টেনিস। একক ও দ্বৈত উভয় রকমের প্রতিযোগিতাই আছে টেবিলে টেনিসে। অল্প স্থানেই টেবিল টেনিস খেলা সম্ভব। নড়াচড়া কম হলেও টেবিল টেনিসে প্রচুর ক্যালরি খরচ হয়। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ এক ঘণ্টা টেবিল টেনিস খেললে অন্তত ৩০০-৩৫০ ক্যালরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে। অবশ্য প্রতিযোগিতামূলক টেবিল টেনিস খেললে ক্যালরি খরচের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।
টেবিল টেনিস খেলতে হলে অবশ্যই কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে ওয়ার্ম-আপ করতে হবে ভালোভাবে। কারণ, টেবিল টেনিস খেলার সময় গোড়ালির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এতে ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় রয়েছে। এ ছাড়া টেবিল টেনিস খেলতে হলে পূর্ণ মনোযোগের প্রয়োজন রয়েছে। মনোযোগ একটু বিচ্ছিন্ন হলেই প্রতিপক্ষের আক্রমণে নাস্তানাবুদ হতে হবে। সতর্ক থেকে নিয়মিত টেবিল টেনিস খেলতে পারলে শরীরে প্রয়োজনীয় ব্যায়ামের কাজ শেষ হয়ে যাবে। শরীর থাকবে মেদমুক্ত সুস্থ ও সতেজ।