এএফসি প্রেসিডেন্ট কাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছে শেখ রাসেল। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান কেআরএলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেও পরবর্তী দুই ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা এয়ারফোর্স ও ভুটানের উগেইন দলকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সর্বোচ্চ ৭ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। সত্যি বলতে কি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্লাব পর্যায়ে যদি বড় সাফল্যের কথা বলা হয় তাহলে ঢাকা মোহামেডানের নাম আসবে। ৮০'র দশকে দুইবার তারা এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছিল। এ আসরে তখন খেলতো এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ক্লাবগুলো। ইরানের ৮ জন জাতীয় খেলোয়াড় নিয়ে গাড় পিরুজী ক্লাবকেও তারা বাছাইপর্বে হারিয়েছিল। যাক ফুটবলে এখন যে করুণ দশা তাতে শেখ রাসেলের এ শিরোপাকে বড় সাফল্য হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল ঢাকায় ফেরার পর অধিনায়ক বিপ্লব জানালেন, আমাদের সময়টা খারাপ যাচ্ছিল। গতবার তিন ট্রফি জিতলেও এবার পেরে উঠতে পারছি না। ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপে ভালো করতে পারিনি। লিগেও এখন যে অবস্থান তাতে শিরোপা জেতা অসম্ভবই বলা যায়। এ অবস্থায় আমাদের টার্গেট ছিল প্রেসিডেন্ট কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা। সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা তা পেরেছি। প্রথম ম্যাচে ক্লান্ত থাকার কারণে জিততে পারিনি। পরের দুই ম্যাচে অসম্ভব ভালো খেলে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছি। বিপ্লব বলেন, একটা দলের সময় খারাপ যাওয়া মানে সবশেষ হয়ে যাওয়া নয় তা প্রমাণ করতে পেরেছি। এ সাফল্য যেমন শেখ রাসেলের জন্য জরুরি ছিল তেমনি দেশের ফুটবলের জন্যও। হতাশায় বন্দি হয়ে গিয়েছিল দেশের ফুটবল। এখন অন্তত এটা আমরা বলতে পারব চেষ্টা করলে ফুটবলে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। চূড়ান্তপর্বে শেখ রাসেল আরও ভালো করবে তা আশা রাখি। তবে সেপ্টেম্বরে খেলা বলে দলে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। কেননা ওই সময় আবার নতুন মৌসুমের দলবদল শুরু হয়ে যাবে। যাক যারাই তখন শেখ রাসেল থাকুক না কেন আমার প্রত্যাশা থাকবে চূড়ান্ত পর্বেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেখ রাসেল যেন আরেকটি ইতিহাস গড়ে।