বিশ্বকাপ চলাকালে ব্রাজিলে যাতে জুয়া কিংবা ফিক্সিংয়ের মতো কোনো ঘটনা না ঘটে এ জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ফিফা। তারপরও জুয়া ও ফিক্সিং ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েক সপ্তাহ আগেই ইন্টারপোলের সাবেক প্রধান গো বুন হুই ব্রাজিলের অপরাধীদের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, যত সতর্ক থাক তাদের থামানো যাবে না। তিনি বলেন, 'টুর্নামেন্টের জন্য যে কোনো ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর একটি ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার জন্য খেলোয়াড়দেরও ব্যাপক আর্থিক সুবিধার লোভ দেখানো হবে।' এমন একসময় খোর এই মন্তব্যটি প্রকাশিত হয়েছে যখন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্টস সিকিউরিটি (আইসিএসএস) এবং প্যারিস সরবোন ইউনিভার্সিটি তাদের গবেষণা রিপোর্টে দাবি করেছে যে, ফুটবল ও ক্রিকেট হচ্ছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক। সেখানে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্টের সময় বাজিতে লগি্ন হবে প্রায় ৮৪ বিলিয়ন পাউন্ড, যার ৮০ শতাংশই অবৈধ পন্থায়।
ফিফার নিরাপত্তাবিষয়ক পরিচালক রাফ মুতসেকা মনে করেন, টুর্নামেন্টের একটি অংশকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ফিঙ্াররা। তিনি বলেন, গ্রুপ পর্বের শেষ দিকের ম্যাচগুলো থাকবে বেশি ঝুঁকির মধ্যে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে ফিফাকে প্রতিটি ম্যাচের মূল্যায়ন করতে হবে, সেই সঙ্গে বাজির বাজারগুলোতেও অনিয়ম হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে হবে।