মাহেলা জয়াবর্ধনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে। কলম্বোতে শুরু কলম্বোতেই শেষ করতে চলেছেন এই লঙ্কান গ্রেট। তবে শেষের আগেই একটা উপহার পেলেন জয়ানন্দ ওয়ারনাভিরার কাছ থেকে। গলের বিখ্যাত ক্রিকেটার। জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট খেলেছেন। খুব বেশি ম্যাচ না খেললেও লঙ্কান ক্রিকেটে নাম-ডাক ভালোই আছে জয়ানন্দের। সাবেক এই ক্রিকেটারের কাছ থেকে গতকাল চমৎকার এক উপহার পেলেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। তবে ব্যক্তিগত এই উপহারের চেয়েও বড় ছিল গতকালের রোমাঞ্চকর জয়। গল টেস্টের শেষ দিনে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। পড়ন্ত বিকালে গলের গল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড জয়াবর্ধনের জন্য নিয়ে এলো উৎসবের উপলক্ষ। অন্যদিকে মিসবাহ বাহিনীকে করল বেদনাহত। লঙ্কান ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়াবর্ধনের শেষ সিরিজ। দুই ম্যাচের সিরিজে প্রথমটি জিতে সতীর্থরা আগাম বিদায়ী অভিবাদন জানিয়ে রাখল জয়াবর্ধনেকে। এই জয়ের কৃতিত্ব অবশ্যই সাঙ্গাকারা এবং হেরাথের। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ইউনুস খানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে (১৭৭) ৪৫১ রান করার পর যারা ভেবেছিলেন, ম্যাচটা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করেন সাঙ্গাকারা। তার অনবদ্য ২২১ রানেই লঙ্কানরা প্রথম ইনিংসে ৫৩৩ রান করে। লিড নেয় ৮২ রানের। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে ১৮০ রানেই থেমে যায়। সর্বোচ্চ ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ। ৬ উইকেট শিকার করে পাকিস্তানের ইনিংসে ধস নামান হেরাথ। ৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লঙ্কানরা ৪.৪ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এই জয়ের পর বিদায়ী সিরিজ খেলতে নামা মাহেলা জয়াবর্ধনে বলছেন, 'জয়টা অসাধারণ। এর সঙ্গে অনেক আবেগ মিশে আছে। এ জয়টা আমরা উদযাপন করব। তবে খুব বেশি উল্লাস করা ঠিক হবে না। দ্বিতীয় ম্যাচটাও আমাদের জয় করতে হবে।' জয়াবর্ধনের এই শেষ ইচ্ছেটাও কি পূরণ করতে পারবেন সাঙ্গাকারা-হেরাথরা!