দীর্ঘদিন ধরে কোনো খেলাধুলা না হওয়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাটোরের লালপুর শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়ামটি কাশবনে পরিণত হয়েছে। দর্শক গ্যালারি স্থানীয় লোকজন পাট শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে। লালপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরে একটি স্টেডিয়াম থাকার পরও বাগাতীপাড়া-লালপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুর রহমান পটল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে লালপুরের বৈদ্যনাথপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের পাঁচ একর জমির ওপর স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করেন। ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর তিনি এর উদ্বোধন করেন। জমির মূল্য বাদে স্টেডিয়াম নির্মাণে সে সময় ব্যয় হয়েছিল ২ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭০০ টাকা। তবে জমির মূল্য ধরলে এর ব্যয় ৪ কোটি ছাড়িয়ে যেত। তবে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সরকার স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখে শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম। তখনকার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার নতুন নামফলক উন্মোচন করেন। এর মধ্যেই স্টেডিয়ামের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ আছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, স্টেডিয়াম উদ্বোধনের পর প্রথম দু-এক বছর ঘরোয়াভাবে খেলাধুলা হয়েছে। জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানও এখানে হতো। পরে আনন্দমেলার নামে মাসব্যাপী যাত্রা ও সার্কাসের জন্য স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করা হয়। এরপর ২০১২ সালে শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল কাপ খেলা হয়। এর পর থেকে সব সময়ই স্টেডিয়াম ফটকে তালা লাগানো থাকে। দীর্ঘদিন খেলাধুলা না হওয়ায় এখন মাঠটি কাশবনে পরিণত হয়েছে। স্টেডিয়ামসংলগ্ন বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, স্টেডিয়াম সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলে কাশফুল জন্মানোর সুযোগ থাকত না। তারা ফুটবল খেলার জায়গা না পেয়ে এখন স্টেডিয়ামের পেছনে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের মাঠে খেলাধুলা করেন। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সমপাদক আশফাকুল হোসেন জানান, সংস্কারের অভাবে স্টেডিয়ামটি খেলাধুলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্থার নিজস্ব কোনো তহবিল না থাকায় এখানে কোনো খেলার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।