প্রায় ৯ বছর পর আরও একটি বিশ্ব রেকর্ড দেখলো জোহান্সবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম এবং ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২০০৬ সালে এই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার ছুড়ে দেওয়া ৪৩৪ রান টপকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরশু রাতে এই প্রথম টি-২০ ক্রিকেটে ২০০ রান ঊর্ধ্ব ইনিংস দাঁড় করে ম্যাচ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার প্রতিপক্ষ প্রোটিয়াসরা। ভেন্যু সেই নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম। স্বাগতিকদের ২৩১ রান টপকে ক্যারিবীয়রা ৪ উইকেটের অনায়সলব্ধ জয় তুলে নিয়েছে ৪ বল হাতে রেখে। এর আগে ২০০৯ সালে মোহালিতে শ্রীলঙ্কার ২০৭ রান টপকে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। টি-২০ ক্রিকেটেই সেটাই সর্বোচ্চ ইনিংস তাড়া করে ম্যাচ জেতা। রেকর্ডের এই ম্যাচে দুই দলের ক্রিকেটাররা সব মিলিয়ে ছক্কা মেরেছেন ২৪টি এবং চার মেরেছেন ৪৪টি। মজার বিষয়, দুই দলের ক্রিকেটারদের ছক্কার মারার সংখ্যা সমান, ১২টি। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের চারের সংখ্যা ২৬টি এবং প্রোটিয়াসদের ১৮টি। রেকর্ড গড়া জয়ে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজটিও জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেপটাউনের প্রথম ম্যাচেও জিতেছিল ৪ উইকেটে এবং সিরিজের শেষ ম্যাচ কাল ডারবানে।
কেপটাউনে প্রথম ম্যাচ হেরে সিরিজে পিছিয়েছিল স্বাগতিকরা। পরশু রাতে প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক ফাপ ডি ডুপ্লেসিসের সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডু প্লেসিস ১১৯ রানের ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৫৬ বলে। স্ট্রাইক রেট ২১২.৫০। ইনিংসটিতে ১১টি চার ছাড়াও ছিল ৫টি ছক্কা। ডুপ্লেসিসের সেঞ্চুরিটি প্রোটিয়াসদের ইতিহাসে দ্বিতীয়। প্রথম প্রোটিয়াস ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেন রিচার্ড লেভি। ২৩২ রান তাড়া করতে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে হারায় ওপেনার ডুইন স্মিথের উইকেট। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস ১১.৫ ওভারে ১৫২ রান যোগ করে দলের জয় সহজ করে দেন। স্যামুয়েলস ৩৯ বলে ৬০ রান করেন। গেইল ৯০ রানের ধ্বংসাত্দক ইনিংস খেলেন মাত্র ৪১ বলে। যাতে ছিল ৯টি চার ছাড়াও ৭টি ছক্কা। আগের ম্যাচেও গেইলের ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২৩১/৭, ২০ ওভার ( রোসোউ ১৫, ফাপ ডি ডুপ্লেসিস ১১৯, ডেবিড মিলার ৪৭, অনটং ১৯। সুলেমান বেন ১/৪২, জেসন হোল্ডার ২/৩২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৩৬/৬, ১৯.২ ওভার ( ডুইন স্মিথ ১৯, ক্রিস গেইল ৯০, মারলন স্যামুয়েলস ৬০, আন্দ্রে রাসেল ১৪, ড্যারেন ব্রাভো ১০, ড্যারেন সামি ২০*। অ্যাবট ১/৬৮, ডি. লেঞ্জ ১/৪২, ডেবিড ওয়েইজ ৩/৪৩, ফাঙ্গিসো ১/৩৩)।