ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়ে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের যেখানেই পা রাখেন না কেন, বাংলাদেশের নাম শোনার পর বেশ অনেকটা সময় তাকিয়ে থাকেন। এরপর হাসিমুখে বলেন, \'তোমরা ইংল্যান্ডকে হারিয়েছ। খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছ তোমরা।\' ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় যতটা আলোড়িত করেছে পুরো বিশ্বকে। তেমনি ঝড় তুলেছেন পেসার রুবেল হোসেন। অ্যাডিলেড ওভালে জয়ের জন্য যখন ১২ বলে ১৬ রান দরকার ইংল্যান্ডের, তখনই ঝড় তুলেন রুবেল। মাত্র তিন বলের ব্যবধানে স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে ঐতিহাসিক জয় উপহার দেন দলকে। সেই রুবেল আজও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভরসা টাইগারদের। মাশরাফিবিহীন দল তাকিয়ে থাকিবে তার দিকেই। বিশ্বকাপের আগে বেশ বড় ধরনের ধকল সামলেছেন রুবেল। মডেল নায়িকা হ্যাপীর দায়েরকৃত মামলায় তিনদিন জেলও খেটেছেন। এরপর জামিন পেয়ে খেলতে এসেছেন বিশ্বকাপে। প্রথম চার ম্যাচে আহামরি কিছু করতে পারেননি। কিন্তু পঞ্চম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন দুর্বার। ৫৩ রানে নেন ৪ উইকেট। মুল্যবান ছিল ব্রড ও অ্যান্ডারসনের উইকেট দুটো। ওই দুই উইকেটই টাইগারদের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ঠাঁই দেয়। সেই রুবেলও আজও ভরসা দলের। কারণও আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বরাবরই পারফরম্যান্স ভালো রুবেলের। সর্বশেষ যে সিরিজটি খেলেছে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে, সেখানে তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নেন রুবেল। যার একটি আবার হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট। মিরপুর স্টেডিয়ামের ওই ম্যাচে রুবেল ৫.৩ ওভারের আগুনে স্পেলে ২৬ রানে নেন ৬ উইকেট। যাতে আবার ইনিংসের ২৩.৩, ২৩.৪ ও ২৩.৫ ওভারে টানা বলে কোরে অ্যান্ডারসন, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও নিশামকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন। ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে আবার সাফল্যও বেশ ভালো রুবেলের। ৮ ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ১৬টি। অথচ ৫৭ ম্যাচ ক্যারিয়ারে উইকেট ৭৫টি।