বিশ্বকাপ শুরুর আগে মার্টিন গাপটিলকে নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। এমনকি আসর শুরুর পরও নয়। বরং কিউই সমর্থকরা গাপটিলের উপর বিরক্তই হচ্ছিলেন। কেননা প্রথম চার ম্যাচে নিউজিল্যান্ড যেখানে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে জয় পেয়েছে সেখানে গাপটিলের কোনো হাফ সেঞ্চুরিও ছিল না। কিন্তু অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম তার উপর থেকে ভরসা হারাননি। আর ক্যাপ্টেনের প্রতিদানটাও হাতে নাতেই দিচ্ছেন। শুধু কী প্রতিদান! গতকাল মার্টিন এমন এক কীর্তি গড়েছেন যা ক্রিকেট ইতিহাসেই অনন্য অধ্যায় হয়ে থাকবে। কিউই তারকার টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুটি এটি। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তার আগের ম্যাচেও তার হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন গাপটিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে কিউই অধিনায়ক খেলেছেন অপরাজিত ২৩৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড এটি। কয়েক দিন আগেই ক্যারিবীয় তারকা ক্রিস গেইল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যানবেরায় করেছিলেন ২১৫ রান। সেই গেইলের দলের বিরুদ্ধে এবার অতিমানবীয় ইনিংসটি খেলেছেন গাপটিল। ১৬৩ বলে ১১ ছক্কা ও ২৪ চারে সাজানো এক ইনিংস। গাপটিলের অবিস্মরণীয় দিনে ক্যারিবীয়দের ১৪৩ রানে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে নিউজিল্যান্ড। ২৪ মার্চ শেষ চারের লড়াইয়ে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে।
কাল ইনিংসের শুরুতেই নতুন জীবন পেয়েছেন গাপটিল। প্রথম ওভারেই স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন মারলন স্যামুয়েলস। সেই গাপটিলই ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে ছাড়লেন। তার ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৯৩ রানের পাহাড় গড়ে কিউইরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৫০ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।
মার্টিন গাপটিলের ইনিংসটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ হলেও ওয়ানডের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে কলকাতায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৬৪ রান করেছিলেন ভারতের রোহিত শর্মা। কালকের ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেলেন গাপটিল।