শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা আছে ভারতের। সেমি ও ফাইনাল জিতলে তৃতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলবেন ধোনিরা। এই অবস্থায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের স্বস্তিতে থাকার কথা। কিন্তু ধোনিরা কি সিডনি মাঠে খোশমেজাজে লড়তে পারবেন। এমনিতে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। জরিপ বলছে এ ম্যাচে স্বাগতিকদেরই জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চাপ নিয়েই মাঠে নামতে হবে। তারপর আবার কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়েও স্বস্তিতে নেই ভারত। কেননা ম্যাচে দুই আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ও আলিম দারের বিপক্ষে ব্যাপকভাবে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। ক্রিকেটে আম্পায়ারকে ঘিরে সমালোচনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু মেলবোর্ন কোয়ার্টার ফাইনালে দুই আম্পায়ারের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। যা অতীতে কখনো হয়নি। বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা ক্রিকেটাররা বলতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়াররা পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় না নিলে ভারতের সেমিতে যাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ত। এ ধরনের মন্তব্য সেমিতে নামার আগে ধোনিরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সিডনিতে পৌঁছানোর পর অনেক সাংবাদিকই অধিনায়ক ধোনিকে জিজ্ঞাসা করছেন কোয়ার্টার ফাইনালে এমন বাজে আম্পায়ারিং হলো কেন? এ ব্যাপারে ধোনি একেবারে নীরব। কারণ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের না করে দিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রসঙ্গ উঠলেই তা এড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু তাতে কি মানসিকভাবে শান্তিতে নেই ধোনিরা। সাংবাদিকদের কাছে মুখ না খুললেও কোয়ার্টার ফাইনালে যা ঘটেছিল তা কি নিজেদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে না। এমন চাপে ধোনিরা সেমিফাইনালে কতটুকু সুবিধা করতে পারবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।