ভারতীয় ইনিংসের ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে গেল। রিভিউ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি আম্পায়ার। সোজা আঙ্গুল তুলে জানিয়ে দিলেন, আউট। আম্পায়ারদের এই সঙ্কেতের মাধ্যমে সপ্তম উইকেট হারালো ভারত। আর রান আউটে কাটা পড়ে ততক্ষণে প্যাভিলনের পথ ধরেছেন ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনি।
সত্যিকার অর্থে রাহানে আউট হওয়ার পরই ম্যাচটির পরিসমাপ্তি ঘটে। তবে ক্রিজে ধোনি ছিল বলে কিছুই অনুমান করা যাচ্ছিল না। তাই মাঠে ভারতের জয়ের আশা-ভরসার প্রতীক ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পরই গ্যালারিতে নেমে আসে হতাশা। এর ১৪ বল পরেই অলআউট ভারত। কিছুক্ষণ আগেও যারা হাততালি দিয়ে গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছিলেন স্টেডিয়ামে বসা সেইসব দর্শকের মুখ গম্ভীর। কারো চোখ জলে টলমল। কারো চোখ বেয়ে নামছে লোনা পানি। টিভি ক্যামেরাগুলো খুঁজে খুঁজে বের করছে ক্রন্দনরত দর্শকদের। কেউ চোখ মুছছেন। আবার কেউ নির্বাক হয়ে কেঁদে যাচ্ছেন।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারিতে শুরু হয়েছে কান্নার রোল। ক্রিকেট যে ভারতের মানুষের কাছে ধর্মের মতো। ক্রিকেটের প্রতি তাদের টান যে কতোটা সেটারই বহিঃপ্রকাশ এই কান্না।
২০১১ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে কাঁদিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ভারত। গতবারের সেই তারকা ক্রিকেটারদের অধিকাংশই ছিল না এই দলে। তবে সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ছাড়া এতো বাজে খেলেনি টিম ইন্ডিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব