সিডনি সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ৩২৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল। এরপরও ভারতীয় সমর্থকরা আশাবাদী ছিলেন এই রান টপকিয়ে ধোনিরাই ফাইনালে যাবে। উদ্বোধনী জুটি রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান সেভাবেই খেলা শুরু করেছিলেন। ১২.৫ ওভারে দুজন মিলে ৭৬ রান যোগ করেছিলেন। এরপরই বিদায় ঘটে ধাওয়ানের। বিরাট কোহলি মাঠে নামার পর ভারতীয়রা উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। আশা ছিল কোহলি অসি বোলারদের দিশাহারা করে ফেলবেন। কিন্তু সব আশা হতাশায় পরিণত হয় কোহলি মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরত যাওয়ার পর। সত্যি বলতে কি কোহলির বিদায়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়া কেউ আর দাঁড়াতেই পারেননি। কোহলি প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেলেও বাকি ম্যাচগুলোতে জ্বলে উঠতে পারেনি। কিন্তু ভক্তরা আশাবাদী ছিলেন সেমিফাইনালে তার ব্যাট কথা বলবে। কোহলি নিজেও বলেছিলেন, সিডনি তার পছন্দের মাঠ। এখানে তিনি ভক্তদের নিরাশ করবেন না। কিন্তু এ কী করলেন? দলের বিপর্যয়ের দিনেও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলেন। এ নিয়ে ভক্তরা শুধু হতাশ নন তার ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ। বাদ যাননি তার গার্লফ্রেন্ড বলিউড তারকা আনুশকা শর্মাও। ভক্তরা ফেসবুকে উল্লেখ করেছেন কোহলিকে ডুবিয়েছেন আনুশকা। কারণ তিনি সেমিফাইনালে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন। কোহলি যখন ব্যাট করতে আসেন তখন বার বার জায়ান্ট স্কিনে আনুশকাকে দেখানো হচ্ছিল। আর এতেই ব্যাটিংয়ে মনোযোগ হারিয়ে কোহলি ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ভক্তরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আনুশকার বোঝা উচিত ছিল তিনি যেসব ম্যাচে উপস্থিত থাকেন তার অধিকাংশতে কোহলি ফ্লপ মেরেছেন। অনেকে আবার বলেছেন, এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। কোহলি খেলতে না পারলে তার গার্লফ্রেন্ড করবে কী? তবে ব্যাপারটি হালকা চোখে দেখছেন না ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। সেমিতে হারার পর ক্রিকেটারদের বাসায় হামলার আশঙ্কা করছেন তারা। ধোনি ম্যাচে ভালো করার পরও তার বাসায় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। কোহলিকে ঘিরে যেহেতু বাড়তি আশা ছিল তিনি সেমিতে দাঁড়াতে না পারায় তার বাসাতেও পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।