পর পর দু'টো টোয়েন্টি২০, সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে হেরে বিধ্বস্থ বাংলাদেশ শিবির। ব্যাটসম্যানরা মাঠে নামছেন, আর যত দ্রুত সম্ভব অন্যকে সুযোগ করে দিয়ে ফিরে আসছেন। এরইমধ্যে গতকাল প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমের প্রশংসা ঝরে পড়লো অধিনায়ক মাশরাফির মুখে।
মাশরাফির মতে মুশফিকই বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে পেশাদার ক্রিকেটার। তিনি বলেন, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা শুরুতে ভালো করতে না পারায় দ্রুত মাঠে নামতে হচ্ছে মুশফিকুর রহিমকে। এজন্য বাড়তি চাপ নিয়ে খেলতে হচ্ছে তাকে। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমনটিই হয়েছে।
প্রথম ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইনিংসের অষ্টম ওভারেই মাঠে নামতে হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। সেই সময়ে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪০। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মুশফিক। নির্ভরযোগ্য এই দুই ব্যাটসম্যান ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন।
২০তম ওভারের শেষ বলে ডুমিনির বলে মারতে গিয়ে ইমরান তাহিরের হাতে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। শেষ হয়ে যায় ৩৮ বলে ২৪ রানের ইনিংস।
মুশফিকের ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচ শেষে মাশরাফির ব্যাখ্যা হলো, 'মুশফিক গত দুই বছর যেভাবে দলকে সার্ভিস দিয়েছে তা অবিশ্বাস্য। মুশফিকতো মানুষ, ওর খারাপ সময় আসবে। এটা সবাইকে মেনে নিতেই হবে। কেউ যদি নাও মানতে চায় মুশফিককে মানতে হবে। একজন খেলোয়াড়ের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করা উচিত না। টপ অর্ডারে কোনো ব্যাটসম্যান যদি ভাল শুরু পায় তাহলে মুশফিকের জন্য সুবিধা হয়ে যায়। মুশফিক ৩০ ওভারের পরে ব্যাটিং করলে ওর স্বাভাবিক শটসগুলো খেলতে পারে।'
তিনি আরো বলেন, 'ও (মুশফিক) আজকে চাপে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমেছে। চাপ থেকে বের হয়ে আসছিল; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আউট হয়ে গেছে। তবে মুশফিককে নিয়ে আমিসহ পুরো দলের কেউ চিন্তিত না। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রফেশনাল সে। এই বিষয়ে কোনো ডাউট নেই। আমার বিশ্বাস সে ঘুরে দাঁড়াবে।'
বিডি-প্রতিদিন/১১ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ