আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপ। টেস্ট খেলুড়ে ১০ দেশসহ অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ১৬। বাকি ৬ দেশ আইসিসি সহযোগী দেশ। টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে ভারতে। ফাইনাল ইডেন গার্ডেনে। এই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের খেলা হবে ৮ ভেন্যুতে। এবারের আসরে সবচেয়ে বড় চমক ওমান। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ক্রিকেট খেলে, জানেন এমন ক্রিকেটপ্রেমীর সংখ্যা বোধকরি কড়ে আঙ্গুলে গোনা যাবে। সেই ওমান ইতিহাস গড়ে টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। নামিবিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে ওমান। শুধু বিশ্বকাপ নয়, আগামী চার বছর আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলার টিকিটও পেয়ে গেছে। পরের বিশ্বকাপ ভারতের আট ভেন্যুতে হবে। ১১ মার্চ শুরু এবং ফাইনাল ৩ এপ্রিল। ভেন্যুগুলো- ইডেন গার্ডেন (কলকাতা), ফিরোজ শাহ কেটলা স্টেডিয়াম (নয়াদিলি্ল), এইচপিসিএ স্টেডিয়াম (ধর্মশালা), চিদাম্বরম স্টেডিয়াম (চেন্নাই), চিনস্বামী স্টেডিয়াম (ব্যাঙ্গালো), আইএস বিন্দ্র স্টেডিয়াম (মোহালি), ভিসিএ স্টেডিয়াম (নাগপুর) ও ওয়াংখেদ স্টেডিয়াম ( মুম্বাই)। গত পরশু ডাবলিনে ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে বাছাইপর্বের প্লে অফে কাল ৫ উইকেটে জয় পায় মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। প্রথমে ব্যাট করে নামিবিয়া ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে। ওপেনার বার্ড সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ৫২ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে। ভ্যান সুক্র করেন ৩৪। ওমানের আনসারি ৩টি ও লালচেতা নেন ২ উইকেট । টার্গেট ১৪৯ রান। সেটা করতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দলটির। শেষ দিকে জিসান সিদ্দিকী ৩২ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে ৬ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব নিশ্চিত করে। একই দিন টি-২০ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। বাছাইপর্বের তৃতীয় প্লে-অফ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে ৬ উইকেটে হারায় এশিয়ান প্রতিনিধিরা। টি-২০ বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করা সহযোগী বাকি চার দেশ-আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, হংকং ও নেদারল্যান্ডস।