৫ মার্চ, ২০১৬ ১০:০২
এশিয়া কাপ টি-২০ ফাইনাল

'টিকিট নিয়েই ফিরব'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'টিকিট নিয়েই ফিরব'

রবিবার ম্যাচ। শনিবার ছাড়া হবে টিকিট। অথচ, টিকিট সংগ্রহে লাইন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। আঁধা ঘণ্টা ঘুরেও যে লাইনের শেষ পাওয়া দুষ্কর, সেখানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকতে পেরে নিজেদের বেশ বীর বলেই মনে করছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আরিফ ও ব্যবসায়ী শহীদ। দৃঢ় আত্মবিশ্বাস তাদের- যতোই কালোবাজারি হোক, ব্যাংক থেকে যদি মাত্র তিনটি টিকিটও ছাড়া হয়, তারা পাবে। অবশ্য এজন্য গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তাদেরকে অবস্থান নিতে হয়েছে ইউসিবি ব্যাংকের সামনে। এখানেই চলেছে খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, গামছা পেতে তাস খেলা। আর টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে লাইনে সবার আগের জায়গাটি দখলে নিয়েছেন মিরপুর বাংলা কলেজের ডিগ্রির ছাত্র রেজওয়ান। এজন্য তাকে আসতে হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায়।

কিশোরগঞ্জ থেকে আসা কলেজ ছাত্র রনি লাইনে দাঁড়িয়েছেন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়। লাইনে তার অবস্থান চতুর্থ। তারও বিশ্বাস টিকিট সে পাবেই। বললেন, অনেক দূর থেকে এসেছি। নিজের দেশের জন্য এসেছি। টিকিট নেবো, ম্যাচ দেখবো, জয়ীর বেশে বাড়ি ফিরবো।

বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল খেলা দেখার টিকিট কিনতে মিরপুরে ইউসিবি ব্যাংকের টিকিট বুথের সামনে জমা হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। হোটেল-দোকান থেকে খাওয়া-দাওয়া চললেও অনেকেরই গোসল হয়নি গত দু'দিনে। তাদেরই একজন গোলাম হাবিব বললেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় এসে চার বন্ধু লাইনে দাঁড়িয়েছি। বদলি করে খাবার খেয়ে আসছি। তবুও জানি না টিকিট পাবো কিনা। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে সকাল ১০টায় শুরু করে দুই ঘণ্টা পরই ব্যাংক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় 'টিকিট শেষ'। তখন ১৫০ টাকার টিকিট কালোবাজার থেকে ১২০০ টাকায় কিনে খেলা দেখেছি।

লাইনে অবস্থান কত তা জানেন না হাবিব। তবে দেখে মনে হলো তার আগে হাজার খানেক মানুষের কম হবে না। তাই টিকিট মিলবে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। বিষয়টা নির্ভর করছে সত্যিকার অর্থে ব্যাংক থেকে কতগুলো টিকিট ছাড়া হচ্ছে তার ওপর।

শুক্রবার রাতে ব্যাংকের সামনে অনেককেই তাস খেলে রাত কাটাতে দেখা গেছে। রেজওয়ান, রনি, আরিফ, শহীদ, হাবিবদের মতো হাজার হাজার ক্রিকেটপাগল নারী-পুরুষ এখন সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কেবল একটি টিকিটের আশায়। নারী-পুরুষের জন্য লাইনও আলাদা। নারীদের লাইনটি ছোট হলেও ধীরে ধীরে তা দীর্ঘ হচ্ছে। এখন দেখার পালা রাতের ঘুম হারাম করা মানুষগুলোর কতজন হাসিমুখে ফিরতে পারেন।


বিডি-প্রতিদিন/০৫ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর