ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সাভারের বিকেএসপির মাঠে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বিরুদ্ধে ৮ উইকেটের বড় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তবে ম্যাচটি দিনের অন্য সব ম্যাচকে ছাড়িয়ে গেছে অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে।
এদিন, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১ রান। স্ট্রাইকে তখন শামসুর রহমান ৯৫ রানে অপরাজিত। সেঞ্চুরি পেতে শামসুরকে ছক্কা হাঁকানো ছাড়া উপায় ছিল না। পেসার আবদুল হালিমের তৃতীয় বলে সেটাই করলেন শামসুর। জয়ের পাশাপাশি ১০১ রানে তখন অপরাজিত গাজী গ্রুপের এই ওপেনার!
কিন্তু সেঞ্চুরি উদ্যাপন করার আগেই থামতে হলো তাঁকে। কারণ হালিমের বলটি ছিল 'নো' বল। ফলে বল ব্যাট আসার আগেই গাজী গ্রুপ ম্যাচ জিতে যাওয়ায় ১০১ রান করেও সেঞ্চুরি করে ৯৫ রানে অপরাজিত থাকলেন শামসুর রহমান।
ব্যাপারটিতে অবাক হলেও ক্রিকেটীয় নিয়মে, একজন আম্পায়ার নো বল ডাকার সঙ্গে সঙ্গে সেটি রান হিসেবে যোগ হয়ে যায়। ফলে জয়ের জন্য মাত্র ১ রান প্রয়োজন এ রকম পরিস্থিতিতে নো বল হলেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায় বলে ওই বলে পরবর্তী সময়ে যে রানই হোক না কেন সেটা আমলে নেওয়া হয় না।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন শেবাগ। সুরাজ রনদিভের নো বলে ছক্কা মারার পরও সেঞ্চুরি পাননি।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব