মুস্তাফিজুর রহমানের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে জিততে শেষ দুই ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ১৬ রান। হাতে ৭ উইকেট। সহজেই উতরে যাবার কথা। ইনিংসের ১৯তম ও নিজের শেষ ওভার করতে আসেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলটি ডট। দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরান ব্রাথওয়েটকে। তৃতীয় বলে দিলেন এক রান। চতুর্থ বলটি ডট। পঞ্চম বলে দিলেন দুই রান। পরের বলে ফের দুই রান। এক ওভারে এক উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ দিলেন মোট ৫ রান। পরের ওভারে দরকার ১১ রান। বলে আসেন ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু আটকাতে পারেনি দিল্লিকে। সানরাইজার্সের দেওয়া ১৫৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এদিন ৪ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজ।
শুক্রবার রাতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স। শুরুটা ভালো করেছিলেন ওয়ার্নার ও ধাওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ রান সংগ্রহ করেন তারা। এরপর দু'জন ব্যাটসম্যান রান আউটের ফাঁদে পড়েন। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ব্রাথওয়েটের হাতে রান আউট হন শিখর ধাওয়ান। ৮ বলে ১০ রান করেন তিনি। ওয়ান ডাউনে মাঠে নামা দীপক হুদা (১) সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে একইভাবে আউট হন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সানরাইজার্স। ওয়ার্নার ২২ গজের এক প্রান্ত থেকে রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়া করেন। একমাত্র ওয়ার্নার হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ৫৬ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি।
এছাড়া হেনরিকসের ১৮ রান ও ওঝা অপরাজিত ১৬ রান করেন। ভুবনেশ্বরর কুমার ৭ বলে ১৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে সানরাইজার্স। দিল্লির সেরা বোলার ব্রাফেট ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন।
১৫৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুট ভালো হয়নি দিল্লির। দলীয় ৯ রানে ফিরে যান ডি কক (২)। দলীয় ৮২ রানে রানআউট হন রিশব পান্ট (৩২)। এরপর হাল ধরে ডুমিনি ও করুণ নায়ার। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় ডুমিনিকে (১৭) ফেরান বরিন্দ্রর স্রান।
নিজের প্রথম ওভারে মুস্তাফিজ দেন ৮ রান। পরের ওভারে দেন মাত্র এক রান। ষোলোতম ওভারে বল করতে আসেন তিনি। নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ডুমিনিকে ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে ক্যাচ বানিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু ভুবনেশ্বর সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি। ৩ ওভার শেষে মুস্তাফিজ দেন ১৯ রান, কোনও উইকেট নেই।
শেষ দুই ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ১৬ রান। হাতে ৭ উইকেট। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ৫ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলের নেন কাটার মাস্টার। শেষ ওভারে প্রয়োজন দাঁড়ায় ১১ রান। তবে ভুবনেশ্বর কুমার আটকাতে পারেননি দিল্লির করুণ নায়ারকে। ৫৯ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে দিল্লিকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ