২০০৭ সালের বিশ্বকাপে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কাছে হেরে যায় ভারত। বাংলাদেশের কাছে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। সেবার দেশে ফিরে বাজে অভিজ্ঞতা হয় প্রতিটি ভারতীয় ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে বর্তমান সীমিত ওভারের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। সে ঘটনা এখনও তাকে যন্ত্রণা দেয়। এবার সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মহেন্দ্র সিং ধোনি নিজেই।
আসছে ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে ধোনির বায়োপিক এমএস ধোনি: ‘দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। ধোনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। নিউইয়র্কে তার বায়োপিক রিলিজ সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়ী জীবনের সবচেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতাই জানালেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
সেবার দেশে ফেরার পর সমর্থকের রোষের কবলে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। দ্রাবিড় ও ধোনির বাড়িতে ঢিল ছুঁড়েছিলেন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। ঘটনার স্মৃতিচারণ করে ধোনি বলেন, ‘ভারত যখন কোন ক্রিকেট ম্যাচ হারে, সমর্থকরা এমন আচরণ করেন মনে হয়, আমরা কোনো বড় অপরাধ করেছি অথবা আমরা খুনি কিংবা আমরা সন্ত্রাসী।’
দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের কী অবস্থা হয়েছিল সে বিষয়ে জানতে চাইলে ধোনি বলেন, ‘দিল্লিতে নামার পর দেখি প্রচুর সংবাদ কর্মীরা ভীড় করেছে। আমাদের পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গাড়িতে আমি ঠিক শেবাগের পাশে বসেছিলাম। গাড়ির গতি ছিল ৬০-৭০ কিমি। রাস্তাটা ছিল সরু। মিডিয়ার গাড়িও আমাদের পেছনে চলছিল। তাদের ক্যামেরা ও লাইট আমাদের গাড়ির উপর পড়ছিল।’
ধোনি আবারও বলেন, ‘মনে হচ্ছিলো আমরা কোনো বড় অপরাধ করেছি। কিছুটা যাওয়ার পর পুলিশ স্টেশনে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আমরা প্রায় ১৫-২০ মিনিট বসেছিলাম। তারপর আমাদের গাড়ি ছেড়েছিল। এই ঘটনা আমার জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলেছিল। অনেকে মনে করেন, আমাদের কোনো আবেগ নেই। কিন্তু খেলোয়াড়দেরও আবেগ থাকে। এমন নয় যে সাংবাদিক ডেকে আমরা কান্নাকাটি করবো।’
সূত্রঃ প্রিয়.কম
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর