অস্ট্রেলিয়ায় ইংলিশ ক্রিকেটের মৃত্যু। ব্রিটিশ ক্রিকেটের দেহ পুড়িয়ে ছাই নিয়ে বিজয় উল্লাসে মেতেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৮৮২ সালে ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জয়ের পর এমনই প্রতিবেদন লিখেছিল ব্রিটিশ ডেইলি 'দ্য স্পর্টিং টাইমস'। ওভাল জয়ের পর ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট সিরিজ খবরের শিরোনামে স্থান পেল 'অ্যাসেজ' নামেই। সেদিন থেকেই অ্যাসেজ একটা 'মিথ'।
ওভালে হারের পর ইংল্যান্ড ক্রিকেটের শোকগাথা লিখেছিল ব্রিটিশ সংবাদপত্র। এবার অস্ট্রেলিয়ায় নকআউট হওয়ার পর আরও একবার সেই শোকগাথাই লিখতে হচ্ছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমকে।
২০১৭-১৮ অ্যাসেজ সিরিজে ৪-০ হার ইংল্যান্ডের। বিগত মৌসুমের হিসেব চুকিয়ে সুদে আসলে ফেরত দিল ব্যাগি গ্রিনরা। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডে ৩-২ হারের পর ফের 'বিশ্বের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী' টেস্ট সিরিজে জয় পেল অজি ব্রিগেড।
এবারের জয়ের নায়ক দলপতি তথা বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। ৫ ম্যাচে ৬৮৭ রান। দু'টি অর্ধশতরান, তিনটি শতরান, সর্বোচ্চ স্কোর ২৩৯। এই অ্যাসেজে স্মিথের গড় ১৩৭.৪০।
প্রথম টেস্ট- ব্রিসবনে ১০ উইকেটে জয় অস্ট্রেলিয়ার
দ্বিতীয় টেস্ট- অ্যাডিলেডে ১২০ রানে জয় অস্ট্রেলিয়ার
তৃতীয় টেস্ট- পার্থে এক ইনিংস এবং ৪১ রানে জয় অস্ট্রেলিয়ার
চতুর্থ টেস্ট- মেলবোর্ন ম্যাচ ড্র
পঞ্চম টেস্ট- সিডনিতে এক ইনিংস এবং ১২৩ রানে জয় অস্ট্রেলিয়ার
অস্ট্রেলিয়ায় ৪-০ অ্যাসেজ হেরে অবনমন ইংল্যান্ড দলের। আইসিসি পয়েন্ট টেবিলে ১০৫ পয়েন্ট থেকে নেমে ৯৯ পয়েন্টে এসে ঠেকল ব্রিটিশ ব্রিগেড। তিন থেকে নেমে এখন পঞ্চম স্থানে জো রুটের দল। অন্যদিকে অ্যাসেজের দখল নিয়ে আইসিসি পয়েন্ট টেবিলে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই ব্যাগি গ্রিনরা। ৯৭ থেকে ১০৪ পয়ন্টে পৌঁছে স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া এখন বিশ্বের তিন নম্বর টেস্ট দল।
উল্লেখ্য, মেলবোর্নে ঘুরে দাঁড়ালেও সিডনিতে ফের আত্মসমর্পণ করেছেন জো রুট, অ্যালিস্টার কুকরা। এই সিরিজে সবচেয়ে বড় হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে রুটদের। কামিন্সের আক্রমণের সামনে কার্যত কোনও 'রুট'ই খুঁজে পায়নি ইংল্যান্ড। গোটা ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে অজি ব্যাটসম্যান এবং বোলাররা।
ব্যাটে ওসমান খাজা এবং শন ব্রাদার্সের তাণ্ডব, আর বলে প্যাট কামিন্সের আগুনে আক্রমণ, সিডনিতে 'অনর্গল রক্তক্ষরণের' পর মৃত্যু হল ইংলিশ ক্রিকেটের। কফিনবন্দি করেই অস্ট্রেলিয়া ছাড়ল ২০১৫ সালের অ্যাসেজ জয়ী ইংল্যান্ডকে।
বিডি প্রতিদিন/০৮ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত