মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তানের এ পেস বোলারের বোলিং তোপে নাকানি-চুবানি খান বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরাও। কিন্তু তার ক্যারিয়ারের কলঙ্ক কালিমা এঁকে দেয় ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। তারপরও স্বরুপেই ফিরেছেন আমির। খেলার জন্য এখনও তার ফিটনেস যথার্থ।
তবে আমির নিজের ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘায়িত করতে টেস্টের পরিবর্তে সীমিত ওভারকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। ফেরার পর এ পর্যন্ত দেশের হয়ে ১৬ টেস্টে ৪৪ উইকেট শিকার করেছেন এ পেসার। ইংলিশ কাউন্টি এবং বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি লিগ খেলা শুরুর পর থেকেই ফিটনেস নিয়ে কিছুটা সমস্যায় আছেন তিনি। অধিকন্তু তিন ফর্মেটেই পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্য মেধাবী এ খেলোয়াড়।
২০১০ সালের ভুলের জন্য এখনো তিনি অনুতপ্ত। ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে ইচ্ছাকৃত নো বল করে শাস্তি পাওয়া আমির ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘২০১০ সালের পর থেকে ক্রিকেট আমার কাছে ভিন্ন কিছু এবং আপনি আমার ক্যারিয়ার থেকে হারিয়ে যাওয়া পাঁচটি বছরের দিকে ফিরে তাকান। শুধু ভাবুন এই বছরগুলো খেলতে পারলে সম্ভবত আমার ৭০-৮০টি টেস্ট খেলা হতো।’
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার গুঞ্জন অস্বীকার করে তিনি বলেন কাজের চাপ কমানোর বিষয়ে কোচের সঙ্গে একটা সমঝোতায় এসেছেন তিনি। আমির বলেন, ‘মিকির(কোচ) সঙ্গে আমার একটা সমঝোতা হয়েছে এবং যেহেতু এখন অনেক বেশি ক্রিকেট খেলা হয়ে থাকে তাই আমাদের একটা পরিবর্তন (রোটেশন) নীতি থাকা দরকার। যাতে করে দেশের হয়ে খেলার জন্য সব খেলোয়াড়ই সতেজ এবং পুরোপুরি ফিট থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপের আগে তার (কোচের) পরিকল্পনা বেশ ভালোভাবে কাজ করছে। আমি কখনোই বলিনি আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই না। তবে নিজেকে কিছুটা বিশ্রামে রাখতে এবং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে খেলতে চাই। এমনটা ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের ক্ষেত্রে কেন নয়? আমাদের ভালো মানের অনেক বোলার রয়েছে এবং সবার খেলা প্রয়োজন নয় কি? বিষয়টা এমন নয় যে, আমি চিরদিন থাকব।’
পাকিস্তানে বাঁহাতি এই পেসার আরও বলেন, ‘এখন অনেক বেশি ক্রিকেট হচ্ছে সুতরাং নিজের শরীর সম্পর্কে আমাকে সতর্ক থাকতে হবে। জীবনে আমি অনেক কিছু হারিয়েছি এবং এটা আমার পেশা। খুব সতর্কভাবে আমাকে সামনের দিকে এগোতে হবে। ফিটনেসই সব কিছু এবং একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে সব কিছু খেলাটা সত্যিই আমার জন্য কঠিন। সুস্থ শরীর এবং সতেজ মন থাকলেই প্রভাববিস্তার করার মতো ভালো পারফরমেন্স করা সম্ভব।’
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান