বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএলের ১১তম আসর মাঠে গড়িয়েছে। কলকাতায় এবারের আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ রবিবার। সেটাও আবার বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে। তাই এই ম্যাচকে ঘিরে কলকাতায় চলছে উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনা। আর এরই মধ্যে ময়দানে হাজির হয়েছেন কালোবাজারিরা।
সেখানের পরিস্থিতি এখন এমন যে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকেও হার মানিয়েছে। মহমেডান মাঠে তৈরি হওয়া আইপিএল কর্তৃপক্ষের বক্স অফিসে টিকিট শেষ। সাধারণ জনতার নাগালে থাকা ৪০০, ৫০০, ৯০০ টাকার টিকিট তো দূরঅস্ত, দামি টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া শীর্ষকর্তারা ছাড়াও, মাঝারি এমনকি সেজ কর্তাদের ঘিরেও গত কয়েকদিন ধরে চলছে টিকিটের অনুরোধ। ম্যাচ যত এগিয়ে আসছে অনুরোধের সেই মাত্রা বাড়ছে।
এই হাহাকারের মাঝেও ময়দানের কালোবাজারিরা হাজির। তিন গুণেরও বেশি দামে বিকোচ্ছে কেকেআর-আরসিবি ম্যাচের টিকিট। যা দেখে সিএবি কর্মকর্তারা চিন্তায় পড়েছে। তাদের প্রশ্ন, টিকিট পাচ্ছে কোথা থেকে? কেউ কেউ বলছেন, ক্লাবসহ ১২১টি অনুমোদিত সংস্থাকে হাতে গোনা টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাহলে কমদামি বাকি টিকিট গেল কোথায়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্তা আবার সরাসরি আঙুল তুলছেন টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সংস্থার দিকে। তাদের দাবি, এই সংস্থাই বেশি দামে সরাসরি ময়দানের ব্ল্যাকারদের হাতে টিকিট তুলে দিচ্ছে। আর ৪০০, ৫০০ টাকার সেই টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। আর ক্রেতা বুঝে কখনও সেটাই হয়ে যাচ্ছে ১৮০০ টাকার কাছাকাছি।
টেকনোলজির যুগে নেটিজেনদের হাত ধরে স্মার্টফোনেও চলছে টিকিটের কালোবাজারি। এই ব্ল্যাকাররা অবশ্য এক ধাপ এগিয়ে। তাদেরই একজন বলছিলেন, ‘টাকা অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিলে, আমরাই টিকিট বাড়িতে পৌঁছে দেব।’
বিডি প্রতিদিন/৮ এপ্রিল ২০১৮/ওয়াসিফ