এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের জয় এখন অতীত। আপাতত টিম ইন্ডিয়ার নজর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। তার আগেই আলোচনায় কোচ রবি শাস্ত্রী। এশিয়া কাপের ফাইনালে রবি শাস্ত্রীর কাণ্ড দেখেই সরব নেটিজেনরা। ব্যাপকভাবে ট্রোলড হতে হচ্ছে শাস্ত্রীকে।
সেই ফাইনাল ম্যাচের পরবর্তী সময়ে সম্প্রচারকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ধারাভাষ্যকার কেভিন পিটারসেন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলেন রবি শাস্ত্রীকে। সেখানেই ঢুলু ঢুলু চোখ নিয়ে কোনও রকমে জবাব দিচ্ছিলেন কেপিকে। তাকে দেখে নেটিজেনদের মনে হয়েছে মদ্যপান করে রয়েছেন। তারপরেই এবার শাস্ত্রীকে 'মাতাল' প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন নেটিজেনরা।
সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় মিম, সরস মন্তব্যে। এর আগে একাধিকবার দলে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক সাবেক তারকা শাস্ত্রীকে সমালোচনা করেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলি পরোক্ষে কটাক্ষ করেছেন। তারপরেই শাস্ত্রীর নতুন এই কীর্তি। একটি ট্রোলিং পেজ থেকে একটি মিম টুইট করা হয়েছে।
সেখানে কেপিকে বলতে জিজ্ঞাসা করতে শোনা যাচ্ছে, ‘বাংলাদেশ ভারতের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ খাড়া করেছিল। আপনি কী মনে করেন, ওরা কী ওদের খেলার ‘বার’ বেড়ে গিয়েছে। ইংরেজিতে ‘বার’ শব্দের অর্থ ‘উচ্চতা’ বা ‘মান’। তবে রসালো ভাষায় শাস্ত্রীকে জবাব দিতে দেখা যাচ্ছে, ‘না তো! আমি তো ওখান থেকে এলাম। ওই ফ্লোরে তো কোনও বার নেই।
অপর একজন লিখেছেন, কেভিন : 'তোমার অনুভূতি কী?' জবাবে শাস্ত্রী: 'আমার বমি বমি লাগছে।' অন্য একটি ট্রোলিং পেজের টুইট। কেপি বলছেন, ‘ম্যাচের কোন শটটা সব থেকে ভাল ছিল!’ শাস্ত্রী বলছেন, ‘ওই যে যেটা রাহুল শেষ বার বানিয়ে দিল।’
সত্য হলো, শাস্ত্রীর মাতাল হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। এই ট্রলিংয়ে আসলে তার প্রতি ক্রিকেটভক্তদের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে দারুণভাবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর