চট্টগ্রাম টেস্টে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৬৪ রানের দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। ২০৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্বাগতিকদের ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। এতে দীর্ঘ ৯ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপটে জয়। মাত্র আড়াই দিনে জয় পাওয়ার পেছনে দলের সবার অবদান আছে বলেই মনে করেন অধিনায়ক সাকিব।
নিজের খেলা নিয়ে শেষ মুহূর্তে কিছুটা সন্দেহ থাকলেও কোচের উৎসাহেই এই ম্যাচ খেলেছেন বলেই ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জানান তিনি।
সাকিব বলেন, বলেন, ‘খেলতে পারবো কী পারবো না তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। ধন্যবাদ জানাতে হয় কোচকে কারণ তিনিই আমাকে ‘পুশ’ করেছেন খেলার জন্য। তবে আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যারা ১১ জন খেলেছি এমনকী যারা বাইরে ছিল তারাও জেতার জন্য ডেস্পারেট ছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা পারবো। তাই সবার জন্যই আসলে জয় এসেছে। তবে এখন সামনের ম্যাচেও লক্ষ্য থাকবে।’
অভিষিক্ত নাঈম হাসান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সে প্রথম ইনিংসে দারুণ বল করেছে। আমরা জানি তার আরও উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যেটা সে দ্বিতীয় ইনিংসে পারেনি। কিন্তু সে অনেক কিছু শিখেছে এই ম্যাচে। সে আরও ম্যাচ খেললে আশা করি আরও অভিজ্ঞ হবে এবং অনেক কিছু শিখতে পারবে। কিন্তু আমি বলতে চাই পুরো জয়টাই দলগত পারফরম্যান্স ছিল।’
এছাড়া প্রথম ইনিংসে তাইজুল ও নাঈমের ব্যাটে রান দারুণ সাহায্য করেছে। অবশ্যই মুমিনুল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। এছাড়া ছোট ছোট পার্টনারশিপগুলোতে ২০-৩০ রান বেশ সাহায্য করেছে। ছোট লক্ষ্যের ম্যাচে এমন রানগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়। এমন ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই জয়ে সাহায্য করেছে।
টাইগার দলপতি বলেন, সময় যত গড়িয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা তত বেড়েছে। রানের জন্য, টিকে থাকার জন্য আরও বেশি সংগ্রাম করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। তবে নিজেদের ঠিকঠাক প্রয়োগ করলে টিকে থাকা সম্ভব ছিল।
ঢাকা টেস্টের সম্ভাব্য উইকেট প্রসঙ্গে সাকিব জানান, 'উইকেট প্রস্তুত করবেন কিউরেটর। আর এটা আমাদের খুবই ভেতরের কথা, আর ভেতরের কথা ভেতরে থাকলেই আমি খুশি হব।'
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম