নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজারে বৈশাখের প্রানবন্ত উৎসবে একঝাঁক উদ্যমী ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ১০মে শনিবার এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। রেজু খাল থেকে শুরু হয়ে বেওয়াচ, লাল কাঁকড়া বিচ ও পাটুয়ারটেক পর্যন্ত বিস্তৃত এই আয়োজন ছিল প্রাণের উৎসব ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি।
সুস্থ শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ, আত্মবিশ্বাস ও সহিষ্ণুতা অর্জনের পাশাপাশি পর্যটনকে উৎসাহিত করা এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং অবিচল সংকল্পের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বাধাকে অতিক্রম করে আত্মবিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সকল প্রান্ত থেকে প্রানবন্ত অংশগ্রহণকারীরা (সাঁতারু, সাইক্লিস্ট এবং দৌড়বিদ) আগমন করেন। এছাড়াও ১ জন বিদেশী নাগরিক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫ প্রতিযোগিতায় ২টি ক্যাটাগরিতে দুই জন নারী এবং ১৯৬ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন। প্রফেশনাল ক্যাটাগরি গ্রুপে নারী এবং পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন যথাক্রমে মো: শামসুজ্জামান এবং ফেরদৌসী আক্তার মারিয়া। অ্যামেচার ক্যাটাগরি গ্রুপে পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মো: মহিউদ্দিন। এছাড়াও প্রতিটি শ্রেণীর প্রথম ১০ জন অংশগ্রহণকারী স্মারক ক্রেস্ট এবং ট্রায়াথলন সম্পন্নকারী প্রত্যেকে একটি আকর্ষণীয় মেডেল ও একটি ই-সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন।
বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫ পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজার এর ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সর্বসাধারণের মনোদৈহিক সুস্থতা বজায় রাখতে যথেষ্ট উৎসাহ ও সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। এই ট্রায়াথলন স্থানীয় জনগণ এবং পর্যটকদের নিকট অত্যন্ত গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং সবাই এমন আয়োজনের জন্য।
বিডি প্রতিদিন/এএ