নিজের প্রেমিকা রোসিও অলিভার মাথা ধড় থেকে কেটে আলাদা করে দিতে ইচ্ছে করেছিল দিয়াগো ম্যারাডোনার। হঠাৎ কেন এমন ইচ্ছে করেছিল? ম্যারাডোনা জানান, অলিভা ব্যক্তিগত চুক্তিভঙ্গ করেছে। ভালবাসা হারিয়েছে।
অলিভার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নিয়ে আর্জেন্টিনার টিভি শো ‘লা রেড’–এ ফুটবল রাজপুত্র বলেন, ‘বউ পেটানোর মানসিকতা আমার নেই। কিন্তু অলিভার মাথাটা সত্যিই কেটে ফেলতে ইচ্ছে করেছিল। আসলে আমিই গাধা। কিছুই বুঝতে পারিনি। অলিভা আমার জীবনে আর নেই। ওর পরিজনদের থাকার জন্য আমি যে বাড়িটা দিয়েছিলাম, সেটা ফেরত চাই।
এরপরই ম্যারাডোনার সংযোজন, এই সময় মেয়ের পাশে কীভাবে থাকতে হবে, এটা যদি ওর পরিবারের লোকেরা না জানে, তাতে আমার কিছু করার নেই। আমি তো আর সান্টা নই, যে কিনা চারদিকে ঘুরে বেড়ায়, আর সবার কাছে জানতে চায়, তাদের কী কী চাই। আমিও পরিশ্রম করে রোজগার করি। বিশ্বের আর পাঁচজন মানুষ যেভাবে করে। অলিভার সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক শেষ।’
এদিকে, মেনোত্তিকে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের ডিরেক্টর করায় আপ্লুত ম্যারাডোনা। মন ছুঁয়ে যাওয়া বার্তাও দিলেন। ৮০ বছরের মেনোত্তির উদ্দেশে বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তাপিয়া অবশেষে বুঝতে পেরেছেন। মেনোত্তির শরীরে এখনও শক্তি আছে আর্জেন্টিনার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এতদিন ধরে এ কথাই তো বলেছি।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের ম্যানেজার ছিলেন মেনোত্তি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর