চমকে দেওয়ার মতো একটি সত্য সবার সামনে আনলেন শহিদ আফ্রিদি। তিনি দাবি করলেন, ২০১০ সালে স্পটফিক্সিং কাণ্ডের সময় পাকিস্তানি প্লেয়ারদের সঙ্গে জুয়াড়ি মাজহার মজিদের ফোনে বার্তার আদান-প্রদানের কথা তিনি জানতেন। সে কথা কোচ ওয়াকার ইউনুসকে বলা সত্ত্বেও তিনি গুরুত্ব দেননি।
সে কী? এতদিন তবে চুপ করেছিলেন কেন তিনি? ‘গেম চেঞ্জার’ আত্মজীবনীতে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘ম্যানেজমেন্ট কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। কেমন যেন ঢিলেমি ছিল কাজে। হয়ত পাকিস্তান ম্যানেজমেন্ট ওই ঘটনার প্রভাব কী হতে পারে, এটা ভেবে ভয় পেয়েছিল। এমনও হতে পারে, যাদের ভবিষ্যৎ ক্যাপ্টেন হিসেবে ভাবছিল, তারাই ছিল জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ক্রিকেটারদের মধ্যে। ঠিক কী কারণ ছিল, সত্যিই জানি না।’
মজিদ আর সালমান বাটের এজেন্ট ও ম্যানেজারের মধ্যে যে বার্তা আদান-প্রদান হয়, তা হঠাৎ করেই এসেছিল আফ্রিদির হাতে। তিনি লিখেছেন, ‘জুয়াড়ি মজিদ সপরিবারে শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে গিয়েছিল। ওর ছোট ছেলে বাবার ফোনটা জলে ফেলে দেয়। যথারীতি ফোন বিগড়ে যায়। লন্ডন ফিরে মজিদ ফোনটা সারাতে দিয়েছিল যার কাছে, সে ঘটনাচক্রে আমার বন্ধু। ওর থেকেই জানতে পারি, সালমান বাট আর মজিদের মধ্যে এসএমএসে কথা হয়েছে। জানতে পেরেই আমি ওয়াকার ইউনিসকে বলেছিলাম। ওকে এসএমএসগুলো দেখিয়েছিলাম। কিন্তু উনি কিছুই করেননি। লন্ডন সফরে গিয়ে যখন দেখলাম, মজিদ আবার দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে ঘুরছে, তখন টিম ম্যানেজারকে জানাই। উনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কী করব?’
আফ্রিদি আরও লিখেছেন, ‘বুঝতে পারছিলাম, পাকিস্তানি ক্রিকেটে কিছু একটা চলছে। ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর প্লেয়ারদের স্পষ্ট করেই বলেছিলাম, মজিদের থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট আমার কথার গুরুত্ব দেয়নি। লর্ডস টেস্টের চতুর্থদিন আমি সালমান বাটকে বলি, তুমি দায়িত্ব নিয়ে নাও। আমি আর নেতৃত্ব দেব না। আসলে এসব চোখের সামনে দেখা থেকে বিরত থাকতে চেয়েছিলাম।’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর