ওয়ানডে ক্রিকেটে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। টানা হার শেষ ১০টি ওয়ানডে’র প্রত্যেকটিতে। তবে বিদেশের মাটিতে তাদের অতীত পরিসংখ্যান, সর্বোপরি ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের কারণে বিশেষজ্ঞদের অনেকে বাজি ধরেছেন ৯২ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের জন্য।
কিন্তু দ্বাদশ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সরফরাজদের করুণ আত্মসমর্পণে অবাক অনেকেই। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে বাজি ধরার বিষয়ে পিছিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দ্বাদশ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের এই রান কি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর, কী বলছে পরিসংখ্যান?
পাকিস্তান দলের বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে দেখা যাবে ১৯৯২ বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টে এটাই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। তবে সকল বিশ্বকাপ ধরলে তালিকার প্রথমে থাকবে বিশ্বকাপ জয়ের বছরেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের ৭৪ রানের ইনিংস। অর্থাৎ শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ট্রেন্ট ব্রিজে পাকিস্তানের ১০৫ রানের ইনিংসটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ১৯৯২ অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় যথাক্রমে থাকবে ১৯৯৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩২ রানের ইনিংসটি। ওই একই রানে ২০০৭ বিশ্বকাপে দুর্বল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস। এরপর ২০০৩ বিশ্বকাপে কেপটাউনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৩৪ রানের ইনিংসটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর।
তবে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের এই হার তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে বল বাকি থাকার নিরীখে সবচেয়ে লজ্জাজনক। ৩৬.২ ওভার বাকি থাকতে এদিন পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১০৬ রানের হাসিল করে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। এছাড়া এদিন মাত্র ২১.৪ ওভারেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। যা বিশ্বকাপে তাদের সংক্ষিপ্ততম এবং তাদের সার্বিক ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ত।
একনজরে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম পাঁচ সর্বনিম্ন স্কোর:
১. ৭৪ বনাম ইংল্যান্ড – অ্যাডিলেড (১৯৯২)
২. ১০৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ – নটিংহ্যাম (২০১৯)
৩. ১৩২ বনাম অস্ট্রেলিয়া – লর্ডস (১৯৯৯)
৪. ১৩২ বনাম আয়ারল্যান্ড – কিংসটন (২০০৭)
৫. ১৩৪ বনাম ইংল্যান্ড – কেপটাউন (২০০৩)
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ