বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ২০০টি টেস্ট খেলার নজির রয়েছে তারই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০টি সেঞ্চুরি রয়েছে তার দখলে। সেই সচিন রমেশ টেন্ডুলকারকেও ওপেন করার জন্য তখনকার অধিনায়ক আজহারউদ্দিনের কাছে ভিক্ষা চাইতে হয়েছিল।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন শচীন, যেখানে ১৯৯৪ সালের একটি ঘটনার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছর কাটানোর পর ভারতীয় দলের হয়ে ওপেন করেন শচীন। ১৯৮৯ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলেও ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন লিটল মাস্টার। নিউজিল্যান্ড সফরে অকল্যান্ড ওয়ানডেতে প্রথমবার ওপেন করেছিলেন শচীন। তখন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন মোহম্মদ আজহারউদ্দিন।
সেই ঘটনার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার বলেন, ‘১৯৯৪ সালে প্রথমবার ভারতের হয়ে ওপেন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই সময় ওয়ানডেতে ওপেনাররা খুব একটা আক্রমণাত্মক ব্যাটি করত না। দ্রুত রান তোলার থেকে উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করত। আমি একটু অন্য রকম ভেবেছিলাম। চেয়ছিলাম শুরুতেই দ্রুত রান তুলে বিপক্ষকে চাপে ফেলতে। কিন্তু ওপেন করার জন্য আমাকে অনেক আবেদন ও অনুরোধ করতে হয়েছিল। ব্যর্থ হলে আর কখনও ওপেন করতে চাইব না, এই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম।’
ভারতীয় দলে প্রথম দিকে মিডল-অর্ডারে ব্যাটিং করলেও পরে ওপেন করার সুযোগ পেয়েছিলেন লিটল মাস্টার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪৯টি সেঞ্চুরি রয়েছে শচীনের। এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরির এটি বিশ্বরেকর্ড। ভারতের হয়ে ৪৬৩টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৮,৪২৬ রান রয়েছে শচীনের ঝুলিতে। গড় ৪৪.৮৩।
তবে ওপেন করে নেমে দারুণ সফল হয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৪৯ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। ওপেন করতে নেমে ষষ্ঠ ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিশ্বক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক। ইনিংসের সূচনা করে প্রথম পাঁচটি ইনিংসে শচীনের রান ছিল যথাক্রমে ৮২, ৬৩, ৪০, ৬৩ ও ৭৩। ষষ্ঠ ইনিংসে কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি।
শচীন জানান, ‘প্রথম ম্যাচেই আমি ৪৯ বলে ৮২ রান করেছিলাম। সুতরাং আমাকে আর জিজ্ঞেস করতে হয়নি আমি, আরও একবার ওপেন করার সুযোগ পাব কিনা। টিম ম্যানেজমেন্টও চাইত আমাকে দিয়ে ওপেন করাতে।’
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ