ইডেনে ভারতীয় পেসারদের সাঁড়াশি আক্রমণে মুমিনুলদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, বাঘের খাঁচায় তাদের ছেড়ে দিয়েছে কেউ। ধেয়ে আসা বুলেট গতির বলগুলো থেকে জানপ্রাণ চেষ্টা করছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু বাঘের থাবা থেকে বাঁচতে পারছিলেন না কোনোভাবেই। গতি, সুইং ও বাউন্সারের বিপক্ষে এতটাই নাজেহাল হচ্ছিলেন মুমিনুল, মিথুন, সাদমানরা, তাদের সামর্থ্যরে উপমা দিতেও ভয় পাচ্ছিলেন ধারাভাষ্যকাররা।
প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটসম্যানরা ব্যাট হাতে ব্যর্থ। ব্যাটসম্যানরা বিন্দু মাত্র প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। যার কারণে কোন রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে টিম বাংলাদেশ।
ভারতীয় জাতীয় দলে খেলা মনোজ তিওয়ারি বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, সিরিজ শুরুর আগে থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিল যার কারণে কোনোধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি।
মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘হতাশ তো হয়েছি, আমি অনেক কাছ থেকে বাংলাদেশ টিমকে ফলো করি। বাংলাদেশে আমার অনেক বন্ধু আছে যাদের সঙ্গে আমরা রেগুলার বলি। তারাও কিন্তু জানে এই পারফরম্যান্সে থেকে ভালো করতে পারতো। হয়তো গোলাপি বলে তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না বলে প্রথমবার খেলতে নেমে সেই অসুবিধাগুলো হয়েছে।’
বিশ্বসেরা পেস বোলাদের বিপক্ষে খেলতে হলে নিজস্ব স্কিল বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আমার মনে হয় যেটা বুঝি ওদের আসলে স্কিল সেটটা ভালো করতে হবে। ব্যাটিংয়ের টেকনিক বেসিক যেটা বলি যখন ভালো গতিতে যে বোলাররা বল করে ১৪০-১৪৫ এর ওপরে তাদের বিরুদ্ধে অনেক পরিশ্রম করতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। বাংলাদেশে এখনো দেখিনি যে কেউ ১৪০ এর ওপরে বল করছে কিংবা সেরকম ভাবে নিয়মিত বল করছে। এরকম পরিস্থিতি তৈরি না হলে ভালো করা সম্ভব না।’
তিওয়ারির মতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আগে থেকেই মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিল। তাই মানসিকভাবে আরও শক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তিওয়ারি বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল, আর একবার ব্যাকফুটে চলে গেলে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন হয়। সেটা টেকনিকেল ফল্ট। সবচেয়ে বড় কথা মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। পেস বোলারদের খেলতে গিয়েই আমার মনে হয় মানসিক ভাবে পিছিয়ে ছিল।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ