শান মাসুদ, আবিদ আলি, অধিনায়ক আজহার আলি ও বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে করাচি টেস্ট জয়ের দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৫৫৫ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। এতে ম্যাচ জয়ের জন্য ৪৭৬ রানের টার্গেট পায় শ্রীলংকা। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেটে ২১২ রান করেছে শ্রীলংকা। ফলে ম্যাচ জিততে শেষ দিনে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ২৬৪ রান করতে হবে লঙ্কানদের। আর জয়ের স্বাদ পেতে আর মাত্র ৩ উইকেট শিকার করতে হবে পাকিস্তানের বোলারদের। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ১৯১ ও শ্রীলংকা ২৭১ রান করেছিলো।
এর আগে, দুই ওপেনার দুই ওপেনার মাসুদ ও আবিদের সেঞ্চুরিতে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৩৯৫ রান করেছিলো পাকিস্তান। তাই ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৩১৫ রানে এগিয়েছিলো পাকিস্তান। দিন শেষে আজহার ৫৭ ও বাবর ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিন এই দু’জনও সেঞ্চুরি করেন। আজহার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম ও বাবর চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। এ ম্যাচে যেন ২০০৭ সালের স্মৃতি ভেসে উঠে করাচিতে। ২০০৭ সালে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসে ভারতের শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি করেছিলেন। দিনেশ কার্তিক ১২৯, ওয়াসিম জাফর ১৩৮, রাহুল দ্রাবিড় ১২৯ ও শচীন টেন্ডুলকার ১২২ রান করেন। ফলে ৩ উইকেটে ৬১০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এতদিন টেস্টে এমন নজির একবারই ঘটেছিল। তাই লজ্জার এ রেকর্ডে বাংলাদেশের পাশে এবার নাম উঠলো শ্রীলংকার।
রেকর্ড গড়ে আজহার ১৩টি চারে ১৫৭ বলে ১১৮ রান করেন। আর বাবর ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৩১ বলে অপরাজিত ১০০ রান করেন। বাবরের সেঞ্চুরির পরই ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। শ্রীলংকার কুমারা ১৩৯ রানে ২ উইকেট নেন।
জয়ের ৪৭৬ রানের লক্ষ্যে ৯৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে আজই ম্যাচ হারের পথ দেখে ফেলে শ্রীলংকা। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলাকে নিয়ে ১০৪ রানের জুটি গড়ে আজই শ্রীলংকার হার ঠেকান ওপেনার ওসাদা ফার্নান্দো। ১১টি চারে ৭৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হন ডিকবেলা। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচেই প্রথম সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত থাকেন ফার্নান্দো। ১৩টি চারে ১৭৫ বলে অপরাজিত ১০২ রান করেন ফার্নান্দো। পাকিস্তানের নাসিম শাহ ৩টি উইকেট নেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
