বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজকে নিয়ে জন্মদিনের ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে বিতর্কের মুখে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গত বুধবার (২৭ জানুয়ারী) সাতাশ বছরে পা দিলেন জর্জিনা। আর বিশেষ দিনে বান্ধবীকে নিয়ে তুরিন ছেড়ে পর্তুগিজ ফুটবল মায়েস্ত্রো বান্ধবীকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ওয়েস্টার্ন আল্পসের পিয়েদমন্ত এবং আওস্তা ভ্যালিতে। তুরিন থেকে ৯০ মাইলেরও সামান্য বেশি দূরত্বে আলপাইন টাউন ছিল যুগলের ছোট্ট হলিডে ডেস্টিনেশন।
কিন্তু জানা গেছে, বান্ধবী জর্জিনাকে সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে নাকি করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছেন জুভেন্টাস তারকা। আর করোনা বিধি উপেক্ষা করায় রোনালদোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারী) এবং বুধবার (২৭ জানুয়ারী) জর্জিনা-রোনালদোর হলিডে ট্রিপ এখন পুলিশের আতসকাঁচের নীচে। উল্লেখ্য, তুষারাবৃত আল্পস পর্বতমালার এই অংশবিশেষে জর্জিনা-রোনালদোর স্নোমোবাইলের ভিডিও ক্লিপ জর্জিনার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
পরে জর্জিনা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ক্লিপটি সরিয়ে নিলেও ততক্ষণে হটকেকের মত ভাইরাল হতে শুরু করে মিস্টার এবং মিসেস রোনালদোর স্নোমোবাইলের ভিডিও ক্লিপ। ইতালির প্রথমসারির একটি ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম দাবি করে, মঙ্গলবার ওই অঞ্চলের একটি হোটেলে রাত কাটানোর পর পরদিন সকালে বরফের উপর ওই বিশেষ রাইডটিতে চড়েছিলেন যুগল। যদিও রোনালদোর ক্লাব সেই দাবি নস্যাৎ করেছে। ওই অঞ্চল এখনও ‘অরেঞ্জ জোনে’ এর আওতায় থাকায় বিতর্কে জড়িয়েছেন জুভেন্টাস তারকা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরুরি কোনও কারণ ছাড়া ওই অঞ্চলে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। তাই করোনাবিধি লঙ্ঘন করায় এবার জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে সিআর সেভেনকে।
যদিও তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তবেই জরিমানার অংকটা ঘাড়ে চাপবে জুভেন্টাস তারকার। যেটুকু জানা গেছে তাতে জরিমানার অংকটা ৪০০ ইউরো। আরও জানা গেছে, রোনালদো-জর্জিনা ফিরে আসার পর তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট হোটেলে যায় পুলিশ, কিন্তু সেটি তখন বন্ধ ছিল। এখন দেখার তদন্ত কোনদিকে গড়ায়। এর আগে গত অক্টোবরে ক্লাবের আইসোলেশন ছেড়ে বেরিয়ে পর্তুগাল গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা। এরপর নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ