প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেই লজ্জার রেকর্ড করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে অজিদের ৬২ রানে অলআউট করে টাইগাররা। এটি তাদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড।
এর আগে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানে অলআউট হয়েছিল। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে নেয় ৬০ রানে।
দেশটির ১৪৪ বছরের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানের এই স্কোরকে 'চরম লজ্জাজনক' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমে।
পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে এই হারে দুই লজ্জার রেকর্ড নিয়ে দেশে ফিরবে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমটি হলো-নিজেদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়ল অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয়টি হলো-শুধু টি-টোয়েন্টিই নয়; যে কোনো ফরম্যাটে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আজ মাত্র ১৩.৪ ওভারে গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এর আগে সবচেয়ে কম সময়ে আউটের রেকর্ডটি ছিল ১৪.৩ ওভারের।
অস্ট্রেলিয়ার পাঠকপ্রিয় দৈনিক 'সিডনি মর্নিং হেরাল্ড' লিখেছে, এই বিজয় ও কৃতিত্ব দীর্ঘদিন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাবে এবং টার্নিং বলের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার অদক্ষতা আরেকবার তুলে ধরবে।
এবিসি নিউজের শিরোনাম ছিল ‘ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের সর্বকালের সর্বনিম্ন স্কোর’।
এবিসি লিখেছে, অস্ট্রেলিয়া তাদের সর্বকালের সর্বনিম্ন টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক স্কোর নিয়ে পরাজিত হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে এমন পতন প্রমাণ করে এটি ছিল তাদের আরেকটি ভুল সফর। একজন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটপ্রেমীর জন্য আজকের রাতটা একেবারেই ভালো ছিল না।
নিউজ ডট কম বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এই পরাজয়কে 'কুৎসিত নিদর্শন' হিসেবে উল্লেখ করেছে। নিউজ ডট কম লিখেছে, অস্ট্রেলিয়ান তারকাদের কাছে বাংলাদেশ সফর হুমকি বলে মনে হয়েছিল। তাই তারা ঢাকায় সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়টিও এলো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২০১২ সালে বেলফাস্টে টাইগাররা ৭১ রানে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। এখন পর্যন্ত এটাই টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সবচেয়ে বড় জয়। টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক থেকে এটি অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম বড় পরাজয়। সবচেয়ে বড় হারটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৫ সালে সাউথ্যাম্পটনে অস্ট্রেলিয়া হেরেছিল ১০০ রানে। গতকালের ম্যাচে ৯ অজি ব্যাটসম্যান দুই অংক ছুঁতে পারেননি। এটাও তাদের জন্য লজ্জার এক রেকর্ড।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন